আবারও কলকাতা হাইকোর্টের কড়া তোপের মুখে SSC চেয়ারম্যান। এজলাস থেকেই তাঁকে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চের। উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আদালতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল ভূগোল বিষয়ে শিক্ষককে নিয়োগে করতে হবে। এসএসসি উচ্চ আদালতের সেই নির্দেশ না মানায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিচারপতি। যদিও স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে এদিন আদালতে জানানো হয়, ভূগোলে OBC মেল সিট না থাকায় চাকরি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এরপরই বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী কড়া ভাষায় SSC চেয়ারম্যানকে বলেন, "এই ভুল SSC-এর। গ্রেফতার করে চেয়ারম্যানকে জেলে পাঠাব এজলাস থেকেই।"
উল্লেখ্য, ভূগোলে ওবিসি পুরুষ শূন্য পদে চাকরি হওয়ার কথা ছিল। হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল সেই চাকরি দিতে হবে। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ একটি নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতও। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সেই নির্দেশ দেওয়া হলেও চাকরি দেওয়া হয়নি। এরপরেই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Update: উড়ল ধ্বজা, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে মহাযজ্ঞে পুণ্যাহুতি মমতার
হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট এসএসসিকে ভর্ৎসনা করে বলেন, "আদালতের নির্দেশ মতো উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ তালিকার প্রত্যেককে চাকরি দিতে হবে। শেষ সুযোগ দিচ্ছে আদালত। এরপরেও চাকরি না পেলে হাইকোর্ট কড়া পদক্ষেপ করবে।"
আরও পড়ুন- Calcutta Highcourt: ধোপেই টেকেনি রাজ্যের 'না', শুভেন্দুর 'সনাতনী হিন্দু সম্মেলন'-এ ছাড় হাইকোর্টের
সাম্প্রতিক অতীতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার আগে ওই প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশই পরবর্তী সময়ে বহাল থেকেছে শীর্ষ আদালতে। যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করা না যাওয়াতেই ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। গোটা ঘটনার দায় এসএসসি-র ওপরে চাপিয়েছে একাধিক মহল। এমনিতেই প্রবল চাপে আছেন SSC-এর কর্তারা। তার ওপর ফের একবার কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের ভর্ৎসনা করায় সেই চাপ আরও বেড়ে গেল বলেই মনে করছেন অনেকে।