ইদানিং বেড়ানোর ক্ষেত্রে একটু অফবিট ডেস্টিনেশনের দিকে ঝোঁক বেড়েছে। ফি দিনের ব্যস্ত রুটিন থেকে দিন কয়েকের অবসরে একটু নিরিবিলি এলাকাই বেশি পছন্দ করেন অনেকে। আর বেড়ানোর ক্ষেত্রে বাঙালির একটি বড় অংশের ফার্স্ট চয়েজ নর্থ বেঙ্গল। উত্তরবঙ্গের নজরকাড়া একের পর এক ডেস্টিনেশন দারুণ জনপ্রিয়। বিশেষ করে অফবিট পাহাড়ি গ্রামগুলোয় বেড়াতে যাওয়ার ঝোঁক এখন বিপুলভাবে বাড়ছে। হিমালয়ের কোলে ঘুমিয়ে থাকা সেসব গ্রামগুলির অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশ মনকে অদ্ভুত এক সতেজতা এনে দেয়। বিশেষ এই প্রতিবেদনে উত্তরবঙ্গের তেমনই এক ফাটাফাটি অফবিট ডেস্টিনেশনের হদিশ রইল।
দিন কয়েকের ছুটি পেলে শহুরে কোলাহলকে বিদায় জানিয়ে ঘুরে আসুন তিনচুলে থেকে। উত্তরবঙ্গের পাহা়ডি এই জনপদ দার্জিলিং থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে। ভূপৃষ্ঠ থেকে তিনচুলের উচ্চতা প্রায় ৫ হাজার ৮০০ ফুট। এখানকার ইউএসপি হল অসাধারণ প্রাকৃতিক পরিবেশ। এই গ্রামের অপরূপ শোভা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। মনকে মুহূর্তে রিফ্রেশ করতে পাহাড়ি এই প্রান্তের জুড়ি নেই। দিন কয়েকের প্রাণখোলা আরামের ভরপুর স্বাদ নিতে গেলে উত্তরবঙ্গের এই ডেস্টিনেশন একেবারে পারফেক্ট চয়েজ।
এখানকার চারদিকে ঘিরে রয়েছে চা বাগান। তারই ফাঁকে চোখ মেললে দেখা মেলে বরফে ঢাকা সুন্দরী কাঞ্চনজঙ্ঘার। শীতে এখানে এলে বাড়তি পাওনা কমলালেবু। ছোট্ট গ্রাম জুড়ে রং বেরঙের নাম না জানা হরেক ফুলের বাহার মন ভরিয়ে তুলবে। নিরিবিলিতে দিন কয়েক প্রকৃতির কোলে কাটাতে গেলে তিনচুলে একেবারে সেরা ঠিকানা।
আরও পড়ুন- শীতে পাহাড়? হৃদয় জুড়নো স্নিগ্ধতার পরশ মিলবে অনিন্দ্যসুন্দর এই ছোট্ট গ্রামে
তিনচুলেতে কী দেখবেন?
চাইলে এখানেই দিন কয়েক বিশ্রাম নিয়ে এলাকার অপূর্ব প্রাকৃতিক শোভা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করুন। তবে তিনচুলেকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। চাইলে সেগুলিও এই তিনচুলে থেকেই একটি গাড়ি ভাড়া নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। যেতে পারেন গুম্বাদারা ভিউ পয়েন্টে। এখান থেকে পাহাড়ের ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ চোখে পড়বে। এখান থেকেই দেখতে পাবেন শহর কালিম্পং ও কাঞ্চনজঙ্ঘার মায়াবী রূপ। এছাড়াও যেতে পারেন তিনচুলে মনেস্ট্রি, তাকদা ঝুলন্ত সেতু, লামাহাট্টা ইকো পার্ক-সহ বেশ কয়েকটি চিত্তাকর্ষক জায়গায়।
আরও পড়ুন- সবুজ পাহাড়ে ঘেরা এক চিলতে গ্রাম, হদয় জুড়নো মায়াবী পরিবেশে যেন স্বর্গসুখ!
কীভাবে যাবেন তিনচুলেতে?
কলকাতার দিক থেকে গেলে আপনাকে শিলিগুড়ি বা এনজেপি অর্থাৎ নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছে যেতে হবে। সেখান থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন তিনচুলেতে। তবে শেয়ারেও যেতে পারেন। এক্ষেত্রে বেশ কিছু গাড়িও পেয়ে যাবেন।
তিনচুলেতে কোথায় থাকবেন?
এখানে থাকার জন্য একাধিক সুদৃশ্য হোম স্টে পেয়ে যাবেন। স্থানীয়রাই হোম স্টে-গুলি পরিচালনা করেন। থাকা-খাওয়া হিসেবে হোম স্টে-গুলিতে খরচ নেওয়া হয়। কয়েকটি হোম স্টের নাম ও ফোন নম্বর নীচে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন- কোলাহলমুক্ত পরিবেশে মন্ত্রমুগ্ধকর স্বস্তি! শীতে ঘোরার সেরা বাজি বাংলার এই পাহাড়ি গ্রাম
Adhiraj Homestay- 9749370965
Gurung Homestay- 9933036336
Himalayan Homestay- 9733266633
Poonam Homestay- 8391022949