/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/24/cbi-searches-trinamool-mlas-house-in-rgkar-hospital-financial-irregularities-case-2025-08-24-10-58-42.jpg)
RG Kar কাণ্ডে দাপুটে তৃণমূল নেতার বাড়িতে CBI তল্লাশি,'কেন এখনও জেলের বাইরে' প্রশ্ন শুভেন্দুর
RG Kar Case: শনিবার (২৩ আগস্ট, ২০২৫) আর.জি. কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তথা চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালাল সিবিআই। উত্তর কলকাতার সিঁথি এলাকায় অবস্থিত তাঁর বাসভবনে দু’জন সিবিআই আধিকারিক টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালান।
সূত্রের খবর, এই মামলায় আগেও একাধিকবার সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই এবং ইডি। এমনকি তাঁকে জেরা করা হয়েছিল আর্থিক দুর্নীতির মামলার অভিযোগে। চিকিৎসক সুদীপ্ত রায় ছিলেন আর.জি. কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। পাশাপাশি শ্রীরামপুরের বিধায়ক বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি পদেও রয়েছেন।
আরও পড়ুন- বারুইপুরে বিজেপি নেতার খুনের ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে, বিজেপির 'বিস্ফোরক' অভিযোগে উত্তাল রাজ্য
তিনি আর.জি. করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত। উল্লেখ্য, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এফআইআর দাখিলে দেরি করা এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট আর.জি. কর মেডিক্যাল কলেজের একটি সেমিনার রুম থেকে ওই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়।
এর আগে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে তল্লাশির পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন যে, রায় দুর্নীতিগ্রস্ত। তিনি আর.জি. কর হাসপাতালের নতুন যন্ত্রপাতি নিজের নার্সিং হোমে ব্যবহার করেছেন এবং পুরনো মেশিনগুলি সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। তিনি এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এটা সম্ভব নয়। আমি ধীরে ধীরে অনেক কষ্টে এই নার্সিং হোম তৈরি করেছি। কারও কাছে যদি কোনও প্রমাণ থাকে, তা হলে তা সামনে আনুন।”
আরও পড়ুন-বাংলাদেশ সীমান্তে তোলপাড়! অনুপ্রবেশের চেষ্টায় BSF-এর হাতে আটক বাংলাদেশ পুলিশের শীর্ষ কর্তা
এদিকে সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "বাড়িতে যাচ্ছেন কেন? সিবিআইয়ের তো ওনাকে ঢুকিয়ে দেওয়া উচিত। অনেকবার ডেকেছেন। আরজি করের নতুন মেশিনগুলি ওনার সিঁথির মোড়ের নার্সিং হোমে যায়। উনি প্রথমত অভয়া কাণ্ডের অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। সন্দীপ ঘোষ সহ একাধিক জনকে উনি ফোন করেছিলেন। একারণেই সিবিআই ওনাকে একাধিকবার ডেকে জেরা করেছে। আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি উনি যুক্ত। রেইড অনেক হল এবার এই ধরণের লোকেদের এখন ভিতরে থাকা উচিত"।