/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/07/highcourt-759-news.jpg)
Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্ট।
SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বেনজির রায়ে চাকরি গিয়েছে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারীর। দিকে দিকে চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ আন্দোলন। ঠিক এই আবহে এবার বাংলায় ১০০ দিনের কাজ নিয়েও লাগামছাড়া দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। রাজ্যের চারটি জেলা থেকে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতিতে ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকারের তরফে অভিযোগ ছিল যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের খাতে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা আটকে রেখেছে। যার জেরে রাজ্যের বহু গরিব মানুষ তাঁদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার মনরেগা প্রকল্পে টাকা আটকে রাখা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের উত্তরে বেশ কিছু তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও। কেন্দ্রের দেওয়া উত্তর শোনার পর আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এই ব্যাপারে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রিপোর্ট তলব করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
১০০ দিনের কাজেও বাংলার জেলায় জেলায় চূড়ান্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্যের বিরোধী দলগুলির তোলা এই অভিযোগে দিনের পর দিন শহর থেকে শুরু করে জেলায়-জেলায় বিক্ষোভ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে রাজ্যের বিপুল টাকা আটকে রেখেছে বলে বারবার অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শাসক দলের নেতা নেত্রীরা। ১০০ দিনের কাজের টাকা আদায় নিয়ে দিল্লিতেও বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল।
১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় দল। কেন্দ্রের তরফে হাইকোর্টে জানানো হয়, চার জেলায় ঘুরে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে। পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, মালদহ, দার্জিলিং থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের দুর্নীতির ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে ১০০ দিনের প্রকল্পের দুর্নীতির মামলার শুনানি ছিল। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির ব্যাপারে বেশ কিছু প্রমাণ পেয়েই সরকার কেন্দ্রীয় সরকার এই খাতে টাকা দেওয়া আটকে রেখেছে। তবে রাজ্যের তরফে ফের টাকা পাঠানোর যে আবেদন চলতি বছরের শুরুতেই জানানো হয়েছিল তা বিবেচনার পর্যায়ে রয়েছে বলেও কেন্দ্র জানিয়েছে হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৫ মে। তার আগে কেন্দ্রীয় সরকারকে এই ব্যাপারে যাবতীয় রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।