Junior Doctors Protest: মঙ্গলে সুপ্রিম শুনানি, তার আগে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে বাড়ছে প্রতিবাদের ঝাঁঝ। আজ রবিবার জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে মহামিছিল। 'আর কত দিন বিচারহীন আমরা থাকবো' ব্যানার হাতে রাজপথে প্রতিবাদ। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে এই মিছিলের ডাক দেওয়া হলেও সেই মিছিলে হাজির ছিলেন সিনিয়র চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ।
সেন্ট্রাল পার্ক থেকে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত আজ জুনিয়র ডাক্তারদের মহামিছিলের এ এক অন্য রূপ দেখল গোটা বাংলা। হাজার হাজার সাধারণ মানুষ এই মিছিলে অংশ নেন। নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে আজকের এই মহামিছিল। শনিবার গভীর রাতে এই মহামিছিলের কর্মসূচী ঘোষণা করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
জেলে পরিপক্ক কেজরিওয়াল, জামিন পেয়েই হাঁকাচ্ছেন ছক্কা?
রবিবার বিকেল ৪ টে থেকে মহামিছিল শুরু হয়। ‘আরজি নয় দাবি কর’ ব্যানারে পাঁচ দফা দাবিতে সেন্ট্রাল পার্ক থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত আয়োজন করা হয় আজকের এই মহামিছিল। উল্লেখ্য গতকাল শনিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে হঠাৎ করেই জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে দেওয়া হয় আলোচনার বার্তা। সেই মত জুনিয়র ডাক্তাররা মেল করে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পালটা সরকারের তরফে ইমেল করে জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর কালিঘাটের বাড়িতে সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে বৈঠক। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছান জুনিয়র ডাক্তারদের ৩০ জনের প্রতিনিধিদল।
শেষ পর্যন্ত ভিডিওগ্রাফির দাবিতে চলে চূড়ান্ত টানাপোড়েন। ভেস্তে যায় বৈঠক। কান্নায় ভেঙে পড়েন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। প্রশাসনের তরফে অসহযোগিতার অভিযোগ আনা হয় জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে। খালি হাতেই স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনামঞ্চে ফিরে এসে রাতভর বিক্ষোভ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ডাক দেওয়া হয় মহামিছিলের।
প্রমাণ লোপাটে যোগসাজশ, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত, সন্দীপ ও অভিজিতের ৩ দিনের CBI হেফাজত
এদিন মহামিছিল থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে কিঞ্জল নন্দ বলেন, "তথ্য প্রমাণ লোপাটের কারণে কলকাতা পুলিশের পদত্যাগের দাবিতে ডেপুটেশনে দিয়ে এসেছিলাম। ওনার চোখে চোখ রেখে আমরা আমাদের দাবি জানিয়ে আসার পরও তিনি তিনি পত্যাগ করেন নি। দিনের পর দিন ৫ দফা দাবিতে পথে জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রশাসন উদাসীন। পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে বলা হয়, "বিভিন্ন জায়গায় শূন্যপদ। একের পর এক বিল্ডিং খাঁড়া হলেও ডাক্তার নেই, নেই পর্যাপ্ত পরিকাঠামো। নেই কোন সিভিটিভি, নেই নিরাপত্তা, তারই বলি হতে হল আমাদের এই তিলোত্তমাকে"।