এনআরএসকাণ্ডে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশাপাশি বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা নিয়েও রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট তলব করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, এর আগে সন্দেশখালিকাণ্ডে অ্যাডভাইজরি পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট তলব বরাবরই ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেই সরব হয়ে এসেছে বাংলার শাসকদল।
প্রসঙ্গত, ৫ দিন ধরে অচলাবস্থা চলছে এনআরএসে। জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহকাণ্ডে দেশজুড়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন চিকিৎসকরা। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার’ নির্দেশ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। এই পরিস্থিতিতে ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট তলবে মমতা সরকার আরও চাপে পড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন: মমতা ফোন ধরেননি: রাজ্যপাল
Sources: Ministry of Home Affairs (MHA) issued another advisory to West Bengal state government on the ongoing strike by doctors and sought a report on the matter urgently.
— ANI (@ANI) June 15, 2019
MHA Sources: Pointing out the growing number of incidents of election related&political violence&casualties over 4 years from 2016 to 2019,Ministry of Home Affairs in an advisory issued to state govt said,”unabated violence over the years is evidently a matter of deep concern.” https://t.co/WWKkSZ6IDc
— ANI (@ANI) June 15, 2019
আরও পড়ুন: আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ব্যর্থ পশ্চিমবঙ্গ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
এনআরএস ইস্যুতে রিপোর্ট তলবের পাশাপাশি বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে ফের রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত ৪ বছরে বাংলায় ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজনৈতিক হিংসা রুখতে রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপের নির্দেশের কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় মমতা সরকারকে অ্যাডভাইজরি নোট পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বাংলায় আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল সেবার। সন্দেশখালির ঘটনার পর এনআরএসকাণ্ডকে কার্যত হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। সেই প্রেক্ষিতে এনআরএসের ঘটনার পাশাপাশি বাংলায় হিংসা নিয়ে ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট তলব রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।