জগদ্ধাত্রী পুজোয় তাক লাগানো আলোর জাদু, কলকাতাকে বলে বলে গোল দিতে তৈরি চন্দননগর

ফি বছরের মতো এবারেও জমকালো আলোকসজ্জায় সেজে উঠেছে গঙ্গা পাড়ের ঐতিহ্যবাহী শহর চন্দননগর। দুয়ারে জগদ্ধাত্রী পূজা। ২৮ তারিখ সপ্তমী হলেও এখন থেকেই তৈরি চন্দননগর।

ফি বছরের মতো এবারেও জমকালো আলোকসজ্জায় সেজে উঠেছে গঙ্গা পাড়ের ঐতিহ্যবাহী শহর চন্দননগর। দুয়ারে জগদ্ধাত্রী পূজা। ২৮ তারিখ সপ্তমী হলেও এখন থেকেই তৈরি চন্দননগর।

author-image
Uttam Dutta
New Update
chandannagar-jagaddhatri-puja-2025-preparations

জগদ্ধাত্রী পুজোয় তাক লাগানো আলোর জাদু

আলোর জাদু দেখবেন? আসতে হবে চন্দননগর। প্রতি বছরের মতো এবারেও জমকালো আলোকসজ্জায় সেজে উঠেছে গঙ্গা পাড়ের ঐতিহ্যবাহী শহর চন্দননগর। দুয়ারে জগদ্ধাত্রী পূজা। ২৮ তারিখ সপ্তমী হলেও এখন থেকেই তৈরি চন্দননগর। এবারে ৩১ তারিখ দশমীতে দেবীর বিসর্জন হবে না হবে। শোভাযাত্রা হবে তার পরের দিন। তাই একটা দিন বেশি আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পাবেন চন্দননগরবাসী। চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটি জানিয়েছে, এবারে তাদের অনুমোদিত বারোয়ারির সংখ্যা ১৮০ টি। ১৩৩ টি চন্দননগর এলাকায় বাকি ৪৭ টি ভদ্রেশ্বরে। 

Advertisment

 শনিবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করে চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানিয়েছেন, এবার উৎসবের দিনগুলিতে কোন রকমের বিশৃঙ্খলা যাতে সৃষ্টি না হয় তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ জোরদার করা হয়েছে। পূজার দিনগুলি যাতে শান্তিতে কাটে তার জন্য ৩০০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে আইপিএস থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার প্রত্যেকের দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে পুলিশ কর্মীরা এখানে ডিউটি করতে এসেছেন। 

আরও পড়ুন- দীর্ঘ ৫ বছরের বিরোধের অবসান, কলকাতা থেকে আজ চিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে ইন্ডিগোর বিমান

Advertisment

রবিবার থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর দুটো থেকে পরের দিন সকাল ছ'টা অবধি শহরে সাধারণ যে কোনও যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা (নো-এন্ট্রি) থাকবে। এ জন্য জিটি রোড, দিল্লি রোড সহ চন্দননগর, মানকুণ্ডু এবং ভদ্রেশ্বরে গাড়ি নিয়ে ঢোকার রাস্তাগুলিতে পুলিশি নজরদারি থাকবে। যান নিয়ন্ত্রণে ৭৫০ এইচজি (ট্রাফিক হোম গার্ড) মোতায়েন করা হবে। 

পুলিশ কমিশনার আরও জানিয়েছেন, মহিলাদের নিরাপত্তায় একাধিক বিশেষ বাহিনী নজরদারি চালাবে। রাস্তায় সিসিটিভি বাড়ানো হচ্ছে। এ ছাড়াও রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ কিয়স্ক থাকবে। ওড়ানো হবে ড্রোন। অন্যদিকে চন্দননগর কর্পোরেশন ও তৈরি। রাস্তাঘাট অধিকাংশই মেরামত হয়ে গিয়েছে। নিয়মিত সাফাই অভিযান চলছে। প্রচুর পরিমানে বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা ও করা হয়েছে বলে মেয়র রামচক্রবর্তীর দাবি। এলাকায় এর মধ্যেই ঘাঁটি গেড়েছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। কোথাও কোন অসুবিধার খবর পেলেই সেখানে ছুটে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে একটা সাজোসাজো রব। বলা যেতে পারে মেগা ইভেন্টের জন্য মোটামুটি প্রস্তুত চন্দননগর।

আরও পড়ুন-একের পর বিস্ফোরক মন্তব্যে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল, এবার ডাকাবুকো বিধায়কের বিরুদ্ধেই আসরে দলীয় নেতৃত্ব

দোরগোড়ায় জগদ্ধাত্রী পুজো। সাজছে আলোর শহর চন্দননগর। দীর্ঘ ৫ দিন ধরে চলবে উৎসব। প্রায় আড়াইশো ছোটবড়ো বারোয়ারি তৈরি তাঁদের অভিনব মণ্ডপ এবং আলোকসজ্জা নিয়ে হাজির। চাক্ষুস উপলব্ধ করতে হাজির হবেন লক্ষ্যধিক দর্শণার্থী। তবে কেউ, "রথ দেখে কেউ কলা বেচে।" শহরে নিজেদের পসরা নিয়ে উপস্থিত প্রায় আড়াইশো জন। এরা সবাই মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা থেকে এসেছে। আজ থেকে ২ নভেম্বর অবধি তাঁদের অস্থায়ী ঠিকানা হয়েছে গঙ্গার ধারে চন্দননগর থানার উল্টোদিকে চন্দননগর স্ট্রান্ড রোডে। এদের থাকা, খাওয়া-শোয়া সবই জনপথে। শৌচালয় ব্যবহার করার জন্য pay and use toilet তো আছেই। সুরজিৎ দাস, ভোলা দাস, কার্তিক হালদাররা জানান, আমরা মূলত শিশুদের খেলনা, মুখোশ সহ নানা মনোরঞ্জনের জিনিস বিক্রি করে থাকি। প্রায় আড়াইশো জন ফেরিওয়ালা বেলডাঙা থেকে এখানে এসেছি। ২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে আমাদের সব খেলনাগুলি আছে। এবারে এখানে দশমী দুদিন। আজ পঞ্চমী। তাই অনেকদিন থাকতে হবে। তৈরি হয়েই এসেছি। আশাকরি এখান থেকে ভালোই রোজগারপাতি হবে। আমাদের খেলনা কিনলে শিশুদের মনে হাসি ফুটবে। আর বিক্রি হলে আমাদের পরিবারের মুখে হাসি ফুটবে। পরিবারের হাসিমুখ দেখার জন্যই এতটা পথ অতিক্রম করে আমরা কয়েকটা দিন মুখ গুঁজে এখানে পড়ে থাকি। আশা রাখি মা আমাদের ঠিক দেখবেন।

আরও পড়ুন- তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতেই আক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক, শুভেন্দুর বিরাট অভিযোগে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি

Jagadhatri Puja