Kali Puja 2024-Firecrackers: আলোর উৎসব দীপাবলিকে (Diwali) আরও রঙিন করে তোলে হরেক রকমের আতসবাজি। চরকা, তুবড়ি, রঙমশালের মত পরিচিত আতসবাজির পাশাপাশি এই বছর বাজি বাজারে চমক হিসেবে হাজির হয়েছে আরও কিছু বাজি। আতসবাজির চিরন্তন আলোর রোশনাইয়ের সঙ্গে মিশেছে আধুনিকতার ছোঁয়া।
যেমন ড্রোনের আকারে তৈরি হয়েছে বাজি। বাজিতে আগুন দিলেই ড্রোনের মত আকাশে উড়ে যাবে সেই বাজি। সেই সঙ্গে বেরোবে আলোর রোশনাই। ক্যামেরাবাজি এবার বাজি বাজারের অন্যতম আকর্ষণ। বাজিতে আগুন দিলেই ক্যামেরার ফ্ল্যাশের মত আলো জ্বলবে। এছাড়া রয়েছে, কালার ব্লাস্ট। বাজিতে আগুন দিলেই তৈরি হবে হরেক রঙের কোলাজ। রঙিন তুবড়িও এবার রয়েছে নতুন বাজির তালিকায়।
ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে এই সব আতসবাজির চাহিদা তুঙ্গে। ক্রেতারা দারুণ উৎসাহে বাজি কিনছেন। এদিকে ক্রেতাদের একাংশের অভিযোগ, বাজিতে নতুনত্ব এলেও দাম বেড়েছে অনেকটাই। ফলে ইচ্ছে থাকলেও নতুন বাজির বেশি করে কেনা সম্ভব হচ্ছে না। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম আতসবাজি বিক্রির স্থান হিসেবে পরিচিত চম্পাহাটি-হাড়াল বাজি বাজার। এই বাজি বাজারে এবার গিয়ে দেখা গেল প্রায় প্রতিটি দোকানে বিকোচ্ছে নিষিদ্ধ চকলেট বোমা।
আরও পড়ুন- Kali Puja 2024: পুজোর প্রথম ভোগ শিয়ালকে, ঘোর অমাবস্যায় 'পূর্ণিমার চাঁদ', রহস্যে ঘেরা 'দুর্লভা কালী'র পুজো
আরও পড়ুন- Kali Puja 2024: কালীমূর্তির পায়ে কাঁটা ফুটিয়ে রক্ত বের করেছিলেন, মহারাজকে শ্যামার প্রাণের প্রমাণ দেন কমলাকান্ত
প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কীভাবে বিক্রি হচ্ছে চকলেট বোমা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দোকানদারদের বক্তব্য, "ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে তাই লুকিয়ে-চুরিয়ে বিক্রি করতে হয়। না হলে খরিদ্দার আসবে না। আবার অনেকে বলছেন পুলিশে সব কাজেই বাধা।" চম্পাহাটি হাড়াল আতসবাজি ব্যবসায়ী সমিতির মুখপাত্র শঙ্কর মণ্ডল জানান, একাধিকবার বারণ করা হয়েছে। যারা আইন ভেঙে চকোলেট বোমা বিক্রি করছেন প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন- West Bengal Weather Update: রোদ ঝলমলে আকাশের আড়ালেই নিকষ কালো মেঘ? কালীপুজোয় ঝেঁপে বৃষ্টি জেলায় জেলায়?