Clashes between BJP and Tmc workers over cooperative society elections in Kanthi: শনিবার সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চলছিল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচন। তবে বেলা বাড়তেই সেই নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে রীতিমতো উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়ে যায়। পুলিশের সামনেই দু'পক্ষ হাতাহাতি-মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের যুব সভাপতি তথা কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি বলেন," কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ক্ষমতায় ছিলেন শুভেন্দু। সেখানে গো হারা হেরেছেন। আবার কৃষি সমবায় হাত ছাড়া হওয়ার ভয়ে কাঁথি কৃষি সমবায়ে যে সমস্ত শুভেন্দু পদাধিকারিক রয়েছেন তারা পদ ধরে রাখার জন্য অশান্তি সৃষ্টি করে চলেছে। আগে শুভেন্দু অধিকারী যখন চেয়ারম্যান ছিলেন ভোটাররা ভোট দিতে পারতেন না। এখন ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। ভয়ে শুভেন্দু কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনে ভোট দিতে আসেননি। এই নির্বাচনে আসেন কিনা সেটা দেখার। যতই অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করুক উন্নয়নের জন্য সকলেই আমাদের মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থন করবেন।"
অন্যদিকে সমবায় সমিতির নির্বাচন চলাকালীন অশান্তির বিষয়ে কাঁথি পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের BJP কাউন্সিলর তাপস দলাই বলেন, "পুলিশ, প্রশাসন ও গুন্ডাবাহিনী দিয়ে তৃণমূল যেভাবে পুরসভা সহ অন্যান্য নির্বাচনে ক্ষমতায় বসেছে তেমনই এই সমবায় দখলের জন্যও মরিয়া হয়ে উঠেছে। ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে। বুথের সামনে অশান্তি সৃষ্টি করে চলেছে। আমরা তার প্রতিবাদ করায় আমাদের উপর চড়াও হচ্ছে। এভাবে গায়ের জোরে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সময়ে তার জবাব মিলবে।"
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার, বিলেত সফর সেরে আজই দুবাই হয়ে কলকাতায় মমতা
তবে এই সমবায় ভোটকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুমুল উত্তেজনাকর পরিবেশ রয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাদের ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও শাসকদল বিজেপির অভিযোগ নস্যাৎ করেছে। পাল্টা বিজেপিই এলাকায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেথে শাসক শিবির। এলাকায় অশান্তি রুখতে সচেষ্ট পুলিশ। পুলিশের বিশাল বাহিনী ও Raf মোতায়েন করা হয়েছে এই এলাকায়।
আরও পড়ুন- Cyber Crime: কলকাতায় বসে বিরাট প্রতারণা, অতর্কিতে হানায় যা মিলল তাতে চোখ কপালে দুঁদে পুলিশকর্তাদেরও