Fraudulent business in the name of call center, over 3 crores in cash seized: খাস কলকাতা শহরের নাকের ডগায় বসে আন্তর্জাতিক কল সেন্টার থেকে বিরাট কেলেঙ্কারির পর্দা-ফাঁস। সল্টলেক সেক্টর ফাইভের ওই কল সেন্টার ও তার মালিকের বাড়িতে হানা দেয় বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। অতর্কিতে চালানো এই অভিযানে কয়েক কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। নগদ ৩ কোটি ৩ লক্ষ টাকা ও আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ওই কল সেন্টার থেকেই প্রতারণার জাল পাতা হত বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা।
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক এই কল সেন্টার থেকে আমেরিকার নাগরিকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হতো। মূলত টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার নামেই চলতো এই এই প্রতারণা। তদন্তকারী ওই পুলিশ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট সূত্র মারফত আরও কিছু তথ্য রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থেই এ ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে তিনি কিছু জানাতে চাননি।
তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, এদেশে যেমন সম্প্রতি ডিজিটাল অ্যারেস্টের (Digital Arrest) নাম করে বহু মানুষকে বোকা বানানো চলছে, তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা চলছে, ঠিক তেমনই আমেরিকার নাগরিকদেরও টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করছিল এই চক্রটি।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার, বিলেত সফর সেরে আজই দুবাই হয়ে কলকাতায় মমতা
ডেক্সটপ, ল্যাপটপ ক্লিন-আপের নাম করে মানুষকে বোকা বানিয়ে এরা টাকা নিত। এ ব্যাপারে আরও বেশ কিছু তথ্য তাঁদের হাতে রয়েছে বলে ওই পুলিশকর্তা জানিয়েছেন। যদিও তদন্তের স্বার্থে এখনই এই বড়সড় এই কেলেঙ্কারি নিয়ে বিশদে কিছু জানাতে চাননি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা।
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh: 'এত ছোট মন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে হতে পারেন?', ফের দিলীপের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শুরু করে নিউ টাউন সহ সংলগ্ন একাধিক এলাকায় কল সেন্টারের আড়ালে এমন বড়সড় প্রতারণা চক্রের হদিশ মিলেছে। এক্ষেত্রে বেশ কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছে। তাদের জেরা করেই এরাজ্যের আর কোন জায়গায় এমন প্রতারণার কারবার চলছে সে ব্যাপারে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।