Digha-Jaganath Temple: দিঘায় (Digha) শেষের পথে জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) তৈরির কাজ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সৈকত শহর দিঘায় তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির। সেই মন্দির তৈরির কাজ এখন শেষের পথে বলা চলে। মন্দিরের চূড়া তৈরির কাজ প্রায় অন্তিম পর্যায়ে রয়েছে। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের কাজ পরিদর্শন করতে চলতি ডিসেম্বর মাসেই দিঘায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, চলতি ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ দিঘায় আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী আসার খবর প্রশাসনিক মহলে চর্চিত হচ্ছে। ১১ ডিসেম্বর দিঘার জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করতে পারেন তিনি। এই মন্দিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা হিডকো সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সাথে আলোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
ওই দিন দিঘায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে পুরীর (puri) প্রধান পুরোহিতেরও। এরপরের দিন অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর কলকাতা ফিরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আসার দিনক্ষণ এখনও প্রশাসনিক মহলে স্থির করা না হলেও আসার সম্ভাবনা নিয়ে ইতিমধ্যে দিঘা জুড়ে শুরু হয়েছে জোর তৎপরতা। কয়েকদিন আগেই দিঘার জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করে গেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ন্যায় দিঘাতেও জগন্নাথ মন্দির গড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই অনুযায়ী প্রথমে ওল্ড দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে কেন্দ্র করে নতুন মন্দির গড়ার পরিকল্পনা করা হলেও জমির অভাবে সেখানে করা সম্ভব হয়নি। পরে ওল্ড দিঘার জগন্নাথ মন্দির থেকে খানিক দূরে ওল্ড দিঘা ও নিউ দিঘার মাঝে দিঘা স্টেশন লাগোয়া একেবারে রাস্তার ধারেই ভগিব্রহ্মপুরের একটি মৌজাকে চিহ্নিত করা হয়। সেখানেই ২০ একর জমির ওপর অনিন্দ্য সুন্দর জগন্নাথ মন্দির তৈরীর কাজ শুরু হয়। হিডকো সংস্থাকে যাবতীয় মন্দির তৈরীর কাজের দায়ভার দেওয়া হয়। গোটা কাজের জন্য ১২৮ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী দিঘার অন্যতম আকর্ষণ এই জগন্নাথ মন্দির তৈরীর কাজ এখন প্রায় শেষের পথে বলা চলে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী আসার সম্ভাবনা রয়েছে। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের কাজ এখন প্রায় শেষের পথে। আগামী বছরের শুরুর দিকেই সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই মন্দির।”