complex spine surgery:ফের জটিল অস্ত্রোপচারে সফল্যের মুখ দেখল জেলার হাসপাতাল। শিরদাঁড়ার জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য পেল মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা এখন দারুণ চর্চায়। চিকিৎসকদের কুর্ণিশ জানিয়েছেন রোদী ও তাঁর পরিজনেরা। অন্যদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এই নয়া নজিরে দারুণ খুশি।
মাস ছ'য়েক আগে কোমর ও পেটের একাধিক সমস্যা নিয়ে মালদা মেডিকেলে ভরতি হন জাহানারা খাতুন (২৮)। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর থানা এলাকায়। স্বামী মফিজুল হক রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। তাঁদের দুই ছেলেমেয়ে। জাহানারা বলেন, “মাস ছ'য়েক আগে কোমরের ব্যথা থেকে হাঁটতে-চলতে পারছিলাম না। ধীরে ধীরে বসতেও সমস্যা হচ্ছিল। এমনকী এক সময় মল-মূত্রও ধরে রাখতে পারছিলাম না। যন্ত্রণায় ছটফট করছিলাম। চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিকেলে ভরতি হই। চিকিৎসক MRI করাতে বলেন। সেই রিপোর্ট দেখে অস্ত্রোপচারের কথা জানান। ৭ দিন আগে আমার অপারেশন হয়। এখন অনেকটা সুস্থ রয়েছি। নিজে হাঁটতে-চলতে পারছি। আমরা গরিব। এমন জটিল অপারেশন বাইরে করানোর সামর্থ্য ছিল না।"
অন্যদিকে, হাসপাতালের নিউরো বিভাগের প্রধান ডাঃ অশোক আচার্য বলেন, "এই রোগী প্রচণ্ড কোমরে ব্যথা নিয়ে প্রথমে আমাদের বর্হিবিভাগে এসেছিলেন। আমরা ওনাকে ভরতি করে শিরদাঁড়ার অস্ত্রোপচার করেছি। ওনার তিন লেভেলে সমস্যা ছিল। অস্ত্রোপচারের পর ওই রোগী এখন হাঁটতে চলতে পারছেন। অন্যান্য সমস্যাও কমছে। এত বড় জটিল অপারেশন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হয়েছে। সাড়ে তিন বছর ধরে মালদা মেডিকেল কলেজে নিউরো বিভাগ চলছে। এখানে একের পর এক জটিল অপারেশন হচ্ছে। তবে আমাদের আরও কিছু চিকিৎসকের প্রয়োজন রয়েছে। কিছু জুনিয়র ডাক্তার থাকলে আমরা আরও বেশি মানুষকে পরিষেবা দিতে পারব।"
আরও পড়ুন- Candidate Announcement:'২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম প্রার্থীর নাম ঘোষণাই করে দিল তৃণমূল?
মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতীম মুখোপাধ্যায় বলেন, "মালদা মেডিকেলে নিউরো বিভাগ খোলার পর থেকেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। সম্প্রতি শিরদাঁড়ার যে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, তাও আমাদের সাফল্য। ওই রোগী হাঁটতে পারছেন। আমাদের এখানে ব্রেইন টিউমারের অপারেশনও হচ্ছে। আমরা পরিষেবা আরও উন্নত করার চেষ্টা চালাচ্ছি।"
আরও পড়ুন- West Bengal news Live Updates:অস্বস্তি বাড়ল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, বিচারপতি সরে দাঁড়ানোয় পিছল জামিন আবেদনের শুনানি