New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/07/RzUV0KvM6InjmtCVoYGV.jpg)
TMC: প্রতীকী ছবি।
2026 West Bengal Assembly Election: ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের এখনও ঢের দেরি রয়েছে। তার আগেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিল শাসকদল? এই ঘোষণায় দারুণ চর্চা ছড়িয়ে পড়েছে।
TMC: প্রতীকী ছবি।
2026 West Bengal Assembly Election:সম্প্রতি তৃণমূলেরই একাংশ আগামী ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা থেকে সরব হয়েছিলেন দলের দাপুটে বিধায়কের বিরুদ্ধে। তবে সেসবে আমল না দিয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন '২৬-এর বিধানসভা ভোটেও তিনিই দলের প্রার্থী হচ্ছেন তাঁর পুরনো সিট থেকেই। তৃণমূল জেলা সভাপতির এই ঘোষণার পর কর্মীদের একাংশ হতাশ হলেও বিধায়ক-অনুগামীরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছেন। '২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের এখনও ঢের দেরি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রার্থী ঘোষণার বিষয়টিও এখনও দানাই বাঁধেনি। খোদ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বও এব্যাপারে এখনই 'বেড়ে খেলতে' রাজি নয়। তার আগেই পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতির সামনের বারের নির্বাচনে প্রার্থীর নাম প্রকাশ্যে ঘোষণা ঘিরে চর্চা বেড়েছে।
গতকালই ২১ জুলাইয়েয় প্রস্তুতি সভা থেকেই পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "এবারও বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন খোকন দাস।" বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের দাপুটে বিধায়ক তৃণমূলের খোকন। তবে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রেই তাঁর বিরুদ্ধেও দলেরই একটি গোষ্ঠী রীতিমতো সক্রিয়। সামনের বারের নির্বাচনে খোকন দাসকে যেন আর প্রার্থী করা না হয় সেই ব্যাপারে তৎপরতাও নিচ্ছেন বিধায়কের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতারা। তবে খোদ দলেরই জেলা সভাপতির এই ঘোষণায় কার্যত তাঁদের কার্যক্রমে জল ঢেলে দিল বলেই মনে করছেন খোন-শিবির।
দিন কয়েক আগেই বিধায়ক খোকন দাসের উদ্দেশ্যে রীতিমতো আক্রমণ করেন দলের পুরনো নেতা ও প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান প্রণব চট্টোপাধ্যায়। একই মঞ্চ থেকে দলের অপর নেতা আব্দুর রব, মেহবুব রহমানের মতো বড় নেতারাও খোকন দাসের বিরোধিতায় মুখর হন। গত মঙ্গলবার দলের জেলা সভাপতিকে পাশে নিয়ে তার পালটা জবাবও দেন খোকন-পন্থীরা। ওই দিন বিকেলে ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের কর্মসূচির সমর্থনে মিছিল হয় বর্ধমান শহরে। মিছিলের শেষে কয়েকজন নেতা খোকন দাসের পক্ষ নিয়ে খোকন-সমালোচকদের তীব্র আক্রমণ করে বক্তব্য রাখেন।
ওই দিন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "মিছিল ও সভার ভিড় প্রমাণ করে দেয় খোকন মানুষের মধ্যে আছে। খোকনতো আর পুরসভা চালায় না। খোকনকে আমরা সমর্থন করি। কারণ রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়াও ওঁর নানা ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক কর্মসূচির মাধ্যমে দল মানুষের কাছে পৌঁছোয়। আমার মনে হয় আগামী নির্বাচনে দল আবার খোকনকেই প্রার্থী করবে।"
খোদ দলেরই জেলা সভাপতির এই ঘোষণার পর তৃণমূলের নেতা ইফতিকার আহমেদ বলেন, "যারা তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরে উল্টো-পাল্টা কথা বলছেন তাদের থেকে সাবধান। এরা সারা বছর পার্টি করেন না। শুধু ভোট এলে বেরিয়ে আসেন।" তৃণমূলের অপর নেতা তথা কাউন্সিলর নুরুল আলম আবার খোকনের সমালোচকদের এক হাত নেন। তিনি বলেন, "যারা ঠাণ্ডা ঘরে বসে থাকেন তারা মানুষের মর্ম বুঝবে না। আমরা আমাদের কাজ করে যাব।" অন্যদিকে, তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি নীলা মুন্সী বলেন, "রাজা চলে বাজার, কুত্তা ভোকে হাজার। খোকন দাস মানে বর্ধমানের আবেগ, উন্নয়ন, ভালোবাসা। এটা ট্রেলার। পিকচার আভি বাকি হ্যায়।"