/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/23/ed-raid-congress-mla-karnataka-2025-08-23-15-09-32.jpg)
উদ্ধার নোটের পাহাড়
কংগ্রেস বিধায়কের বাড়িতে টানা তল্লাশিতে উদ্ধার কোটি কোটি নগদ, সোনার গয়না। এই ঘটনায় ইডির হাতে গ্রেফতার কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক কেসি বীরেন্দ্র। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অনলাইন গেমিং সম্পর্কিত পিএমএলএ মামলায় কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা অভিযান চালিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে।
কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক কেসি বীরেন্দ্রকে পিএমএলএ মামলায় ইডি গ্রেফতার করেছে। ইডির অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে নগদ কোটি কোটি টাকা। এর পাশাপাশি এক কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা এবং কোটি কোটি টাকার গয়নাও বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকররা। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে যে ইডির বেঙ্গালুরু আঞ্চলিক কার্যালয় ২২ এবং ২৩ আগস্ট গ্যাংটক, চিত্রদুর্গ জেলা, বেঙ্গালুরু শহর, যোধপুর, মুম্বই এবং গোয়া সহ ৩১টি স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে। যার মধ্যে ৫টি ক্যাসিনোও রয়েছে।
আরও পড়ুন- মহাকাশে মহাযুদ্ধ! বিশ্বের মহাশক্তিধর দেশগুলো চাঁদে নতুন লডা়ইয়ের পথে?
তল্লাশি অভিযানের সময়, প্রায় ১২ কোটি টাকার নগদ অর্থ, যার মধ্যে প্রায় ১ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা, প্রায় ৬ কোটি টাকার সোনার গয়না, প্রায় ১০ কেজি ওজনের রূপার গয়না এবং চারটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ২টি ব্যাংক লকারও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, কে সি বীরেন্দ্রের ভাই কে সি নাগরাজ এবং তার ছেলে পৃথ্বী এন রাজের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, অনলাইন গেমিং ও বেটিং–এর সঙ্গে যুক্ত পিএমএলএ মামলার তদন্তে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্ত বীরেন্দ্র ‘কিং ৫৬৭’ নামক একাধিক অবৈধ অনলাইন বেটিং সাইট পরিচালনা করতেন। পাশাপাশি, তাঁর ভাই কেসি থিপ্পেস্বামী দুবাই থেকে ডায়মন্ড সফটেক, টিআরএস টেকনোলজিস ও প্রাইম৯ টেকনোলজিস নামে তিনটি ব্যবসায়িক সংস্থা পরিচালনা করতেন, যা মূলত কল সেন্টার পরিষেবা ও গেমিং–এর সঙ্গে জড়িত। ইডির দাবি, বীরেন্দ্রর সহযোগীরা দুবাই থেকে এই অবৈধ অনলাইন গেমিং নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছিলেন।
আরও পড়ুন-বন্ধ থাকবে দ্বিতীয় হুগলি সেতু, কবে-কখন? বিকল্প কোন পথে চলবে গাড়ি?
২৩ আগস্ট গ্যাংটক থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্যাংটকের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তাঁকে পেশ করা হয় এবং বেঙ্গালুরু আদালতে হাজির করার জন্য ট্রানজিট রিমান্ড নেওয়া হয়। এই মামলায় এখনও তদন্ত চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা।