/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/21/nuclear-plan-2025-08-21-19-23-13.jpg)
Nuclear Plan: চাঁদে পারমাণবিক ঘাঁটি।
Nuclear Plan: চাঁদ নিয়ে নতুন এক মহাকাশ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ১৯৬০-এর দশকে যেমন আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে চাঁদে পৌঁছানোর প্রতিযোগিতা চলেছিল, এবার লড়াইটা আরও বড়।
পরমাণু ঘাঁটি (Nuclear Base) তৈরি করার দৌড়
এবার শুধু চাঁদে পা রাখাই নয়, বরং সেখানে স্থায়ীভাবে পরমাণু ঘাঁটি (Nuclear Base) তৈরি করার দৌড়। চাঁদে প্রথম পরমাণু কেন্দ্র কে বানাবে? আমেরিকা, রাশিয়া না চীন? ২০৩০-এর মধ্যেই মহাকাশে শুরু হতে চলেছে এই নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতা। প্রশ্ন একটাই— কে আগে চাঁদে পারমাণবিক চুল্লি (Nuclear Reactor) বসাতে পারবে?
আরও পড়ুন- ২৬ অগাস্ট বাজারে তোলপাড়! নয়া স্মার্টফোনে বিরাট চমক Vivo-র
চাঁদে একটি দিন পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান দীর্ঘ, আর একটি রাতও সমান। অর্থাৎ টানা দুই সপ্তাহ আলো, তারপর দুই সপ্তাহ অন্ধকার। সেই অন্ধকারে তাপমাত্রা নেমে যায় হিমশীতল পর্যায়ে। শুধু সৌরশক্তি (Solar Panel) দিয়ে সেখানে টিকে থাকা সম্ভব নয়। ব্যাটারি দিয়েও এত দীর্ঘ রাত সামলানো যায় না। তাই সমাধান একটাই— পারমাণবিক শক্তি। যদি চাঁদে একটি শক্তিশালী পারমাণবিক চুল্লি বসানো যায়, তবে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন- দু'দিনের মধ্যে দুটি জনপ্রিয় প্ল্যান বন্ধ করে দিল Jio, জেনে নিন এখন আপনার কাছে কী কী বিকল্প আছে?
আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা NASA ঘোষণা করেছে যে ২০৩০ সালের মধ্যেই তারা চাঁদে ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতার পারমাণবিক চুল্লি বসাবে। এর মাধ্যমে মানব বসতির জন্য শক্তি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। NASA-র স্টারশিপ লুনার ল্যান্ডার এখনও পরীক্ষাধীন, কিন্তু তারা কাজ দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছে কারণ রাশিয়া ও চীন একসঙ্গে চাঁদ জয়ের পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন- বিরাট বড় ধামাকা! লঞ্চ হল Google Pixel 10 Pro Fold, ফোল্ডেবেল স্মার্টফোনের দুনিয়ায় দুর্দান্ত চমক
২০২১ সালে রাশিয়া ও চীন একটি চুক্তি সই করেছে International Lunar Research Station (ILRS) গড়ে তোলার জন্য। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩৩-২০৩৫ সালের মধ্যে চাঁদে তাদের প্রথম পারমাণবিক চুল্লি বসানোর টার্গেট রয়েছে। এরপর ২০২৫ সালের মে মাসে রসকসমস (রাশিয়া) ও CNSA (চীন) আনুষ্ঠানিকভাবে একটি Lunar Power Plant নির্মাণের চুক্তি করেছে।
আরও পড়ুন- এভাবে মাত্র এক মিনিটে লক করুন আপনার আধার কার্ড, হ্যাকাররাও কিছু করতে পারবে না
১৯৬৯ সালে আমেরিকা প্রথম চাঁদে পা রেখে ইতিহাস বদলে দিয়েছে। এবার ৫৫ বছর পরে আবারও চাঁদ নিয়ে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। তবে এবার শুধু পতাকা লাগানো নয়, বরং সেখানে স্থায়ী মানব বসতি গড়ে তোলার জন্য শক্তি সরবরাহের ব্যবস্থা করার দৌড় চলছে। রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তারা প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে আছেন। তবে চীন এখনও মহাকাশ প্রযুক্তির অনেক গোপন খবর রাখে। চাঁদে পারমাণবিক চুল্লি বসানোর ক্ষেত্রে রাশিয়া-চীনকে একে অপরের ওপর নির্ভর করতে হবে।
প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে— এবার কি আমেরিকা আবারও জিতবে, নাকি রাশিয়া-চীনের জোট চাঁদে প্রথম পারমাণবিক ঘাঁটি বানাতে সক্ষম হবে? সেটা জানা না গেলেও একটি জিনিস পরিষ্কার, দ্বিতীয় মহাকাশ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে, এবং এর ফিনিশ লাইন হচ্ছে চাঁদের উজ্জ্বল পাথুরে পৃষ্ঠ।