/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/10/8M5EtsvsurmYYhTVKEwa.jpg)
Mamata Banerjee & Kunal Ghosh: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষ।
Contempt of court notice against Mamata Banerjee: SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে গত বৃহস্পতিবারই নজিরবিহীন রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রেখে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারীর চাকরি বাতিল হয়েছিল। সুপ্রিম-রায়ের পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিহারাদের আশ্বাস দিতে গিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তথ্য জানিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ওই আইনজীবী দাবি করেছেন, SSC রায়ের পর চাকরিহারাদের আশ্বাস দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন সে ব্যাপারে তিনি ক্ষমা না চাইলে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলাও করবেন বলে জানিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নেওয়া সবার কাছেই কর্তব্য বলেও ওই আইনজীবী মনে করেন।
উল্লেখ্য, SSC-রায়ের পর চাকরিহারাদের সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "কারও চাকরি যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ব্যাখ্যা রাজ্য সরকার চাইবে। সরকার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে দেবে।" এমনকী চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভলিন্টিয়ার সার্ভিসের কথাও তুলেছিলেন।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এক আইনজীবীর এই আদালত অবমাননার নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন। কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এ ব্যাপারে লিখেছেন, "মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিস দিলেন এক আইনজীবী। SC-র চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে চাকরি সুরক্ষার চেষ্টা করছেন, তাতে জটিলতা তৈরি করে প্রক্রিয়ার গতি কমানোর চক্রান্ত। চাকরিহারারা কী চান? মুখ্যমন্ত্রীর চেষ্টা সফল হোক, আপনাদের চাকরি বাঁচুক, নাকি এসব আইনি জট পাকানোর চক্রান্তকারীরা জটিলতা বাড়াক। অবস্থান নিন আপনারা। রামবাম ভোটে পারে না, কোর্টে জট পাকায়। মুখ্যমন্ত্রী বিচারব্যবস্থায় সম্পূর্ণ আস্থা রাখেন। বিচারপতিদের সম্মান দেন। কিন্তু কোনো রায়ে ন্যায়বিচার না হলে বা বহু মানুষের ক্ষতি হলে, সেই অংশ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে পুনর্বিবেচনার কথা বলেন। এর সঙ্গে আদালত অবমাননার কোনো সম্পর্ক নেই। মনে রাখবেন, বিচারপতি চাকরি ছেড়ে বিজেপির সাংসদ হতে গেলেও সাধারণ মানুষের চোখে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।"