বাংলায় করোনায় মৃত ও আক্রান্তের সংখ্য়া বাড়ল। পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত বেড়ে হয়েছে ১২। এই মুহূর্তে রাজ্য়ে করোনায় আক্রান্ত ১৭৮, শনিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্য়সচিব রাজীব সিনহা। মুখ্য়সচিব আরও জানিয়েছেন, ”হাওড়ায় ৫৮০ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্য়ে ৬২ জন করোনায় আক্রান্ত”। ৩৫, ২০৯ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্য়সচিব।
করোনায় হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন’ রাজ্য় প্রশাসন। হাওড়াতে অতি স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়া। বলেন, “হাওড়া এখন খুব স্পর্শকাতর এলাকা হয়ে পড়ছে। মূলত শিবপুর, সাঁকরাইল এবং হাওড়া শহর এলাকায় ঝুঁকি বেশি। প্রয়োজনে হাওড়ায় বাজারের কাছে সশস্ত্র পুলিশ ফোর্স নামানো হতে পারে”।
অন্য়দিকে, হাওড়ার মতো একই ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে কলকাতার বিভিন্ন এলাকাতেও, এমনটাই জানিয়েছেন মমতা। এদিনও তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, “মাস্ক না পরে বাজারে ঢোকা যাবে না। বাজারে একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি যাওয়া যাবে না। বাজার থেকে বেরোনোর সময়ও হাত স্যানিটাইজ করতে হবে”।
আরও পড়ুন: উত্তাল জলপাইগুড়ি জেল, করোনায় মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ বন্দিদের
সীমান্তবর্তী এলাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “শিলিগুড়িতে অনেক বাইরের লোক যাতায়াত করে। ওটা সীমান্ত এলাকা। তাই ওখানে লকডাউন আরও কঠোরভাবে পালন করতে হবে। যে যতোই লাটসাহেব হোক, যার যতোই পেয়ারের লোক হোক, সীমান্ত থেকে কাউকে ঢোকানো যাবে না। আমি এর দায়িত্ব নেব না”।
এদিকে, একমাত্র রাজ্যের বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিকরাই একশো দিনের কাজের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন, এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়েই চলেছে। শনিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে দেশে কোভিড-১৯ পজেটিভ ১৪,৩৭৮ জন। যার মধ্যে ১,৯৯১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৮০। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৮। বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউনের উপযোগিতা টের পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। করোনা বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় চার হাজার ছুঁই ছুঁই। সে রাজ্য়ে করোনায় মৃত ২০১ জন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন