/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/04/cats-2025-10-04-12-36-06.jpg)
কাশির সিরাপেই শিশুমৃত্যু দেশে? তোলপাড় ফেলা অভিযোগের মধ্যে পরামর্শ জারি কেন্দ্রের
শুক্রবার (৩ অক্টোবর, ২০২৫) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান থেকে সংগৃহীত কাশির সিরাপের নমুনায় কোনও ডাইথিলিন গ্লাইকল (DEEG) বা ইথিলিন গ্লাইকল (EG) পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন- লক্ষ্মীপুজোর আগেই বিরাট সুখবর, টানা তৃতীয় দিনের মতো হুহু করে কমল সোনা-রূপার দাম
উল্লেখ্য, এই দুটি রাসায়নিক কিডনির মারাত্মক ক্ষতির কারণ বলে পরিচিত এবং অতীতে একাধিক দেশে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় এই দুই রাসায়নিকের যোগসূত্র মিলেছিল। মন্ত্রকের দাবি, জাতীয় স্তরের বিশেষজ্ঞ দল নমুনাগুলি পরীক্ষা করে দেখেছে এবং রিপোর্টে কোনও ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতির প্রমাণ মেলেনি।
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারায় ১১ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। মৃতদের প্রত্যেকের বয়স ১ থেকে ৭ বছরের মধ্যে। কিডনি সংক্রমণ সহ নানা উপসর্গ দেখা গিয়েছিল তাঁদের শরীরে। কাশি সিরাপের সঙ্গে এই মৃত্যুর সম্ভাব্য যোগসূত্রের অভিযোগ ওঠায় কেন্দ্রীয় সরকার ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (এনআইভি) এবং সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) দুই রাজ্যে বিশেষ দল পাঠায় তদন্তের কারণে। পাশাপাশি, মধ্যপ্রদেশের ড্রাগ কন্ট্রোলার তিনটি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে নিশ্চিত করেছে কাশির সিরাপে ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি মেলেনি।
আরও পড়ুন- সীমান্ত উত্তেজনার মাঝেই ভারত সফরে বাংলাদেশের সেনা প্রধান? বিশেষ কোন কারণ?
পুনের এনআইভি-তে মৃত শিশুদের রক্ত ও সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড (CSF) পরীক্ষা করা হয়। এক শিশুর ক্ষেত্রে লেপ্টোস্পাইরোসিস পজিটিভ ধরা পড়ে। অন্যদিকে, জলের নমুনা, শ্বাসযন্ত্রের নমুনা নিয়ে এখনও পরীক্ষা চলছে। অর্থাৎ মৃত্যুর ঘটনাগুলির সঙ্গে সরাসরি কাশির সিরাপের যোগসূত্র মেলেনি, তবে বিকল্প কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজস্থানে দুটি শিশুর মৃত্যুর তদন্তে দেখা গেছে, সন্দেহভাজন সিরাপে প্রোপিলিন গ্লাইকল ছিল না, সিরাপটিতে ডেক্সট্রোমেথোরফানের অস্তিত্ব মেলে। যা শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষত সুপারিশ করা হয় না।
এরই মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রক, ডিজিএইচএস- এর উদ্ধৃতি দিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্কতামূলক পরামর্শ জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, ছোট বাচ্চাদের কাশি সাধারণত নিজের থেকেই সেরে যায়, তাই দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে কাশির সিরাপ সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা উচিত। বড়দের ক্ষেত্রেও সতর্কভাবে ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-রবিবার রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল, যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ, বন্ধ থাকবে এই রাস্তাগুলি
পাশাপাশি, শিশুদের জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার যেমন পর্যাপ্ত জলপান ও বিশ্রামকে নিরাপদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, জেলা হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজগুলিতে এই পরামর্শ প্রচার করতে, যাতে সাধারণ মানুষ সঠিক তথ্য পান।