/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/04/cats-2025-10-04-11-55-40.jpg)
সীমান্ত উত্তেজনার মাঝেই ভারত সফরে বাংলাদেশের সেনা প্রধান? বিশেষ কোন কারণ?
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার পর থেকে সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস একাধিকবার নানান ইস্যুতে ভারতকে দোষারোপ করেছেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সেদেশে ভারত বিদ্বেষ চরম আকার ধারণ করে। পাশাপাশি ইউনূসের ভারত-বিরোধী একের পর এক উস্কানিমূলক বক্তব্য দু'দেশের মধ্যে সম্পর্কেও আরও তিক্ত করেছে। এর মধ্যেই বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের নয়াদিল্লি সফরের সম্ভাবনা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিস্তর জল্পনা।
আরও পড়ুন- রবিবার রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল, যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ, বন্ধ থাকবে এই রাস্তাগুলি
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম bdnews24.com জানিয়েছে, চলতি মাসেঅ জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ভারতে আসতে পারেন। তিনি ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া ১৪ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা রাষ্ট্রসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেবেন তিনি। উল্লেখ্য তাঁর এই ২ দিনের এই সফর এমন সময়ে হতে চলেছে যখন দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা চরমে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে। পাশাপাশি সীমান্ত অতিক্রম করে অনুপ্রবেশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে টানাপড়েন বাড়ছে। যদিও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের ভারত সফর নিয়ে কোনও সরকারি বিবৃতি দেয়নি।
আরও পড়ুন- রবিবার পুজো কার্নিভালে রাতেও চলবে মেট্রো, যাত্রীদের সুবিধার্থে বাম্পার পরিষেবা!
এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি অশান্তির জন্য নিয়মিতভাবেই ভারতকে দায়ী করছে। গত সপ্তাহে চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী অভিযোগ করেন, ভারত দেশে অস্থিরতাকে উস্কে দিচ্ছে। তবে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এই অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে নস্যাৎ করেছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অক্ষম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বারবার অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।”
আরও পড়ুন- পুজোর চার দিনে ৩৩ কোটি টাকার মদ বিক্রি, রাজ্যে নজির গড়ল এই জেলা
খাগড়াছড়িতে এক নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই হিংসার বলিহন তিনজন আদিবাসী পুরুষ। অন্যদিকে, বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের ঘটনা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। মানবাধিকার সংস্থা Rights and Risks Analysis Group জানিয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১,২৫০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে হিন্দুদের সরাসরি টার্গেট করা হয়েছিল। এমনকি রাষ্ট্রসংঘও স্বীকার করেছে যে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।