পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসেব কষতে গিয়ে কার্যত ভিমড়ি খাওয়ার জোগাড় ইডির কর্তাদের। বারুইপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একটি বাগানবাড়ি রয়েছে বলে দাবি সূত্রের। সেই বাড়িতেই গত রাতে চুরির অভিযোগ উঠেছে। যদিও স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, ওই বাগানবাড়ি থেকে রাতের অন্ধকারে অনেক নথি পাচার করে দেওয়া হয়েছে।
বিরোধী বার বার বলে চলেছেন, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে এখনও পর্যন্ত যে টাকার পাহাড়, সোনা-গয়না ও অন্য সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। অবৈধ উপায়ে অর্জিত এই সম্পত্তির পরিমাণ ঠিক কত তা বুঝতে এখনও ঢের দেরি বলেই দাবি করছেন বিরোধীরা। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করেছে ইডি। তারই সঙ্গে মিলেছে ঝুড়ি ঝুড়ি সোনা, তাল-তাল রুপো। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বহু ফ্ল্যাট, জমির দলিল-নথি।
বিপুল পরিমাণ এই টাকা-গয়নার মালিক আসলে পার্থই, ইতিমধ্যেই ইডির জেরায় নাকি এই তথ্য 'ফাঁস' করেছেন অর্পিতা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে একটি বাগানবাড়ির খোঁজ মিলেছে। বাড়িটি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলেই দাবি স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের।
আরও পড়ুন- ‘প্রায়ই আসতেন ফ্ল্যাটে, টাকার পাহাড়ের মালিক পার্থই’, সব ‘ফাঁস’ করলেন অর্পিতা
তাঁদের আরও দাবি, গতরাতে এই বাগানবাড়ি থেকেই বহু নথি পাচার করে দেওয়া হয়েছে। এলাকার কেউ-কেউ আবার বলছেন, এই বাড়িতে গতরাতে চুরি হয়েছে। কেউ বা কারা গাড়িতে করে বহু জিনিসপত্র এই বাড়ি তেকে নিয়ে চম্পট দিয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘গত ১০ বছরে বাংলায় নিয়োগের ৮০ ভাগই দুর্নীতি’, মমতাকেই দায়ী করলেন সুজন
যদিও স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, চুরি নয়, বহু নথি সরিয়ে ফেলা হয়েছে এই বাড়ি থেকে। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে বারুইপুরে 'সোহিনী' নামে ওই বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু করে সিপিএম। স্থানীয় সিপিমএম নেতাদের দাবি, পার্থ চট্টেপাধ্যায় তাঁর মেয়ের নামেই বারুইপুরে এই বাড়িটি তৈরি করেছেন।
আরও পড়ুন- ‘অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে প্রায়ই যেতেন সৌগত রায়’, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দিলীপের
পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রায়শই এখানে আসতেন বলেও দাবি তাঁদের। এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে এই বাড়ি থেকেও বহু তথ্য মিলতে পারে বলে দাবি তাঁদের। অবিলম্বে এই বাড়িটিতে পুলিশি প্রহররার বন্দোবস্ত করার আবেদন স্থানীয় বাম নেতৃত্বের।
এদিকে, এদিন বারুইপুরের এই বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে জড়ো হয়ে যান স্থানীয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় সিপিএম নেতা-কর্মীদের। শেষমেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পরেই কর্মসূচি তুলে নেয় বাম নেতৃত্ব। ঘটনাস্থলে আসে বারুইপুর থানার পুলিশ।