/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/25/man-kills-pregnant-wife-2025-08-25-10-57-11.jpg)
গর্ভবতী স্ত্রীকে নৃশংস খুন!
Hydrabad Horror: গর্ভবতী স্ত্রীকে নৃশংস খুন! দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে, হাত-পা নদীতে ফেলে দিল স্বামী। হাড়হিম ঘটনায় তোলপাড় দেশ।
হায়দরাবাদে ফের প্রকাশ্যে এল এক রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড। অভিযোগ, পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী স্বাতী যাদবকে নির্মমভাবে খুন করেন তাঁর স্বামী মহেন্দ্র রেড্ডি। এরপর দেহ টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দেন অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনাস্থল থেকে স্বাতীর দেহের একটি অংশ উদ্ধার হয়েছে, বাকি দেহাংশের খোঁজে তল্লাশি চলছে। আত্মীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ মহেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন- অগ্নিমূল্য সবজির দর,'ছুলেই ছ্যাকা'!কবে মিলবে সুরাহা? রইল বিরাট আপডেট
কীভাবে ঘটল নৃশংস খুন?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ আগস্ট বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ ভাড়াবাড়িতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন মহেন্দ্র। প্রমাণ লোপাট করতে দেহ টুকরো টুকরো করেন তিনি। এরপর দেহাংশ নদীতে ফেলে দেন। ধড় লুকিয়ে রাখেন ঘরের মধ্যেই।
২১ বছরের স্বাতী ও ২৭ বছরের মহেন্দ্রর প্রেম থেকে বিয়ে হয়েছিল ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। বিয়ের পর পর তারা হায়দরাবাদের ভাড়া বাড়ি নিয়ে থাকতে শুরু করেন। তবে বিয়ের মাত্র এক মাস পর থেকেই সংসারে অশান্তি শুরু হয়।
২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে স্বাতী স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে গ্রাম পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপে সেই মামলার মীমাংসাও হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বাতী কিছুদিন ধরে একটি কল সেন্টারে চাকরি করলেও মহেন্দ্রের সন্দেহজনক আচরণের কারণে তাঁকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়। এ বছর মার্চ মাসে গর্ভবতী হন স্বাতী। কিন্তু তবুও দাম্পত্য কলহ অব্যাহত থাকে।
২২ আগস্ট স্বাতীর সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সেই দিনই খুনের পরিকল্পনা করে মহেন্দ্র। পরের দিন অর্থাৎ ২৩ আগস্ট তিনি স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করেন।
আরও পড়ুন-বাইক রাখা নিয়ে গণ্ডগোল, মত্ত অবস্থায় পুলিশ যা ঘটাল...সাংঘাতিক অভিযোগ মহিলাদের!
খুনের পর মহেন্দ্র আত্মীয়দের ফোন করে দাবি করেন, স্বাতী নিখোঁজ। আত্মীয়দের সন্দেহ হলে তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশি জেরায় শেষমেশ খুনের কথা স্বীকার করে নেন তিনি। বর্তমানে মহেন্দ্রকে গ্রেফতার করে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
এই নৃশংস ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিখোঁজ দেহাংশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে এবং ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে মৃতার পরিচয় নিশ্চিত করা হবে।