তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কাটমানির পোস্টার দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ অফিসারের গাড়ি চালককে গ্রেফতার হল। কাটমানির পাশাপাশি শ্রীরামপুরের সাংসদের নামে অশালীন মন্তব্য লিখে শ্রীরামপুরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দেওয়া হয়েছিল। এমন অভিযোগই শ্রীরামপুর থানায় জানিয়েছিলেন সাংসদ। অবশেষে এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
কল্যাণের নামে সেই পোস্টার। ছবি: উত্তম দত্ত।
আরও পড়ুন: ‘টাকা ফেরত দাও’, কাঁচরাপাড়ায় মুকুল-শুভ্রাংশুর নামে পোস্টার
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, কাটমানির টাকা নেওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি অশ্লীল ভাষায় তৃণমূল সাংসদকে আক্রমণ করে লাল কালি দিয়ে হাতে লেখা পোস্টার দেওয়া হয় শ্রীরামপুরের বিভিন্ন এলাকায়। এই পোস্টার সামনে আসতেই সরব হন কল্যাণ। পোস্টার নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, পুলিশের স্টিকার লাগানো একটা সাদা বোলেরো গাড়ি করে ওই পোস্টার লাগানো হয়েছে। শ্রীরামপুরের বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ ওই গাড়ির ব্যাপারে নিশ্চিত হয়। এরপরই খোঁজ শুরু হয় সেই বোলেরো গাড়ির । গতকাল গভীর রাতে চুঁচুড়া খাদিনামোড় এলাকা থেকে ওই গাড়িটি আটক করে পুলিশ। গাড়ির চালক প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে জেরায় সে স্বীকার করে নেয় যে সেই পোস্টার লাগিয়েছে ।
আরও পড়ুন: ‘সারদাকাণ্ডে তৃণমূলের সব পদাধিকারীকেই ডাকবে সিবিআই’, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্ফোরক দীনেশ ত্রিবেদী
অমিয় খামারু নামে গাড়ির চালককে আটক করে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ । এরপরই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গাড়িটিতে সমীর সরকার নামে এক পুলিশ আধিকারিক চড়েন। কিছুদিন আগেও তিনি জাঙ্গিপাড়া থানার ওসি ছিলেন। বর্তমানে তিনি হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিআইবিতে ওসি ওয়াচ পদে কর্মরত। তাঁরই গাড়ির চালক অমিয় খামারু। ধৃতকে জেরা করে এ ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত, সে ব্যাপারে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ, এমনটাই জানিয়েছিলেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর।