Cyclone Fengal: শীত পড়তে না পড়তেই ফের একবার ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা বাড়ছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস সামনে আসার পর থেকেই এ বিষয়ে চর্চা চালু। সত্যিই যদি কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় তার নাম হবে 'ফেনজল'। ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র পর এবার 'ফেনজল'। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে সৌদি আরব। আগের 'দানা' নামটি কাতারের দেওয়া।
ইতিমধ্যেই আন্দামান নিকোবর বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্ত নিয়েই যাবতীয় আশঙ্কা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহের গোড়ার দিকে এই ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপ এবং আরও শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তা থেকেই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। সুতরাং শীত পড়তে না পড়তেই ফের এক ঘূর্ণিঝড় নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে।
তবে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলেও তার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পড়বে না। সুতরাং ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। এখনও পর্যন্ত সিস্টেমটির ওপর গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে ওই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। পশ্চিমবঙ্গে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায়। এমনকী শ্রীলঙ্কার উপকূলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে।
এদিকে বঙ্গে শীতের আমেজ ভরপুর। রাজ্যজুড়ে রয়েছে শীতের আমেজ। বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র, দিন যত এগোচ্ছে ঠাণ্ডার কামড়ও ততই বাড়ছে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, একটু একটু করি জাঁকিয়ে ঠাণ্ডার দিকে এগোচ্ছে আবহাওয়ার পরিস্থিতি। দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় শীতের আমেজ। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ঠাণ্ডার অনুভূতি বাড়ছে। পশ্চিমের জেলাগুলির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি বা তার আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। পুরুলিয়ার তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ১৩ ডিগ্রিতে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী দিন কয়েক তাপমাত্রার বিরাট একটা বদল হবে না।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরেই শুরু 'অ্যাকশন', সাসপেন্ড বারাবনি থানার OC