Kali Puja 2024: পাঁচ ডাকাত দলের হাতেই গড়ে উঠেছিল পাঁচ বোন কালী। যা আজও মালদার (Malda) ইংরেজবাজার শহরের পাশাপাশি পাঁচটি জায়গায় মন্দির এবং 'থান' গড়েই প্রতিষ্ঠিত রয়েছে এই পাঁচ কালী। প্রতি বছর কার্তিক মাসের অমাবস্যার তিথিতে ধুমধাম করে পজিত হয় পাঁচ বোনের। কালীপুজোর পর তিন বোনের বিসর্জন হয় এবং দুই বোন পাথরের তৈরি বলেই মন্দিরে থেকে যায়। ইংরেজবাজার শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কালিতলা, ষষ্ঠীতলা লেন এবং ১৬ নম্বর আন্ধারুপাড়া, রাজমহল রোড, কুটিটোলা এলাকাতেই রয়েছে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই পাঁচ বোনের কালীমন্দির। এলাকার প্রবীণদের কথায়, এক ভোগ যদি পাঁচ বোনকেই অল্প করে নিবেদন করা হয়, তাহলে পাঁচ কালীমাতা ভক্তদের সমস্ত স্বপ্ন পূরণ করেন। প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো ইংরেজবাজারের এই পাঁচ কালী বোনের পুজো আজও নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে হয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, মালদা শহরের কালীতলা এলাকায় রয়েছে বড় বোন বুড়াকালী মন্দির, ষষ্ঠীতলা এলাকায় রয়েছে ডাকাতকালী, শহরের চিত্তররঞ্জন মার্কেট সংলগ্ন চত্বরে রয়েছে কাঁচাখাকি কালি ও মশানকালী, ছোট বোন তাঁরা কালীর মন্দির রয়েছে আন্ধারুপাড়া হাটখোলা এলাকায়। কথিত আছে, প্রায় ৩৫০ বছর আগে এই পাঁচ বোন কালীর পুজো শুরু করেছিল পাঁচ ডাকাতের দল। মালদার ইংরেজবাজার শহর তৈরির আগে এই অঞ্চল ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল।
মহানন্দা নদীর তীরে এই ঘন জঙ্গলেই ডাকাত দল পাঁচটি কালীর পুজো করতো। গভীর রাতে ডাকাত দল পুজো করে ফিরে যেত। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে ঘন জঙ্গল এখন আর নেই। ইংরেজ কলোনির পর ধীরে ধীরে মালদায় ইংরেজবাজার শহর তৈরি হয়। মন্দির গুলিতে পুজো দিতে শুরু করেন স্থানীয়রা। এখন পাঁচটি পুজোর দায়িত্ব পালন করেন মন্দির চত্বরের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন- Eastern Rail: শিয়ালদহ ডিভিশনের রেলযাত্রীদের জন্য বিরাট সুখবর! কালীপুজো-দীপাবলিতে বাম্পার বন্দোবস্ত
আলাদা আলাদা ভাবে পুজো হলেও এখন প্রাচীন রীতি মেনেই পুজো হয় এই পাঁচ বোন কালীর। প্রাচীন এই পাঁচ কালী মন্দিরের জাঁকজমক বৃদ্ধি পেয়েছে। বহু ভক্ত এই পুজোয় সামিল হয়। ভিনজেলা থেকেও মানুষজন এই পুজো দেখতে আসেন। এখনও পুজোর পরপর সমস্ত বোনকে মন্দির থেকে একসঙ্গে বের করা হয়। ছোট বোনকে কালী মন্দির প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে শোভাযাত্রা সহকারে সমস্ত দেবি মূর্তি মহানন্দা নদীতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বিসর্জন হয়। তবে দুই বোনের দেবী মূর্তি পাথরের তৈরি করেছেন উদ্যোক্তারা। তাঁদের আর বিসর্জন হয় না। তবে প্রাচীন রীতি মেনেই এখনও পুজো হয়।