RG Kar Incident: এ যেন আরজি কর কাণ্ডের মতই শিউরে ওঠা এক কাহিনী। ডাক্তারি পড়ুয়া মেয়ের মৃত্যু রহস্যেরও বিচার চাইছেন আরও এক 'অভয়া'র পরিবার। এক বছর আগে কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় ডাক্তারি পড়ুয়া এক তরুণীর। আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের মা-বাবাকে কে দেখে মনে বল পেয়ে এখন নিজের ডাক্তারি পড়ুয়া মেয়ের মৃত্যু রহস্যেরও বিচার চাইছেন বর্ধমানের ক্ষুদিরামপল্লীর বাসিন্দা প্রণব কুণ্ডু।
তাঁর দাবি,’ডাক্তারি পড়ুয়া তাঁর মেয়ের মৃত্যুর ঘটনার পরতে পরতে জড়িয়ে ছিল রহস্য। যে মৃত্যু রহস্যের সঠিক তদন্ত বা ন্যায় বিচার কোনটাই আজ অবধি হয় নি’। অসহায় বাবা প্রণব কুণ্ডু পেশায় একজন ব্যবসায়ী । তিনি বুধবার জানান, তাঁর মেধাবী ছোট মেয়ে শান্ত স্বভাবের ছিল । সে ডাক্তারি পড়তে যায় কোচবিহার মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকেই ২০২৩ সালের জুন মাসের ১২ তারিখে তিনি তাঁর মেয়ের মৃত্যুর খবর পান। এই খবর পেয়েই তিনি পরিবারের অন্য কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে তড়িঘড়ি কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণমেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছান। সেখানে তাঁকে বলা হয় তাঁর মেয়ে নাকি হোস্টেলে নিজের ঘরেই আত্মঘাতী হয়েছে।
বাংলার বন্যায় মানবিক DVC, উদ্যোগের প্রশংসা সর্বত্র
প্রণব বাবুর কথায় ,তাঁর মেয়ের মৃত্যু রেখে গিয়েছে অনেক প্রশ্ন। এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে যাবার পরেও তিনি কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ আজও সেইসব প্রশ্নের উত্তর পান নি । আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু রহস্যে উদঘাটনের সঙ্গে সঙ্গে সামনে আসুক তাঁদের মেয়েরও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। এমনটাই এখন চাইছে বর্ধমানের কুণ্ডু পরিবার ।
তবে এত কথা বললেও প্রণব কুণ্ডু যেন কছুতেই ভরসা পাচ্ছেন না। তার কথায়, তাঁর মেয়ের মৃত্যু রহস্যের কোন কিনারা আজ অবধি হয় নি। আরজি করের অভয়ার মৃত্যু রহস্যেরও প্রকৃত কুল কিনারা হবে কিনা তা নিয়েও তাঁর সন্দেহ রয়েছে । মেয়ের মৃত্যুর বেদনা বুকে চেপে রেখ প্রণব বাবু আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন ,’আমার তেমন টাকা পয়সা নেই । অর্থ থাকলে আমি আমার মেয়েয় মৃত্যুর ন্যায় বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করতে পারতাম।’একই সঙ্গে প্রণব বাবু এও বলেন,তাঁর মেয়ের মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের ভূমিকা কতটা সঠিক ছিল তা নিয়েও তাঁদের সন্দেহ রয়েছে ।
এবারও মহা সমারোহে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল! হয়ে গেল দিন ঘোষণা
RG Kar Incidentশুধু তাই নয় ,মেয়ের দেহ ময়নাতদন্তের পর দাহ করতে গিয়ে কেমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন তাও জানিয়েছেন প্রণব বাবু। তিনি বলেন ,’মেয়ের মৃতদেহ দাহ করতে গিয়ে তাঁরা সিনিয়র ছাত্রদের ঘেরাটোপে ছিলেন। ওই সিনিয়্র ছাত্ররাই তাঁকে এবং তাঁদের পরিবারের সবাইকে সাংবাদিকদের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা পুরোদমে চালিয়ে গেছে । এ ব্যাপারে প্রণব বাবু তাঁর মেয়েরই কলেজের তিন ছাত্রী ও এক ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন । মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে ’ইন্ট্রো’ দেবার নামে ঘন্টার পর ঘন্টা অত্যাচার চলতো, এমন অভিযোগও কুণ্ডু বাবু করেছেন। “