Kolkata Koreya mob lynching:খাস কলকাতায় এবার চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। গুরুতর আহত আরও একজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তদন্ত নেমে বেশ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও এখনও অধরা অনেকে। দোষীদের ফাঁসির শাস্তির দাবিতে সোচ্চার নিহতের পরিবার।
কলকাতার কড়েয়া এলাকায় চোর সন্দেহে তিনজনকে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি চলতি মাসের ১৫ তারিখের। কড়েয়ার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় সিকান্দর আজম নামে এক ব্যক্তিকে, এমনই দাবি তার পরিবারের। সিকান্দরের পাশাপাশি আরও দু'জনকে মোবাইল চোর সন্দেহে তুলে নিয়ে যায় এলাকার কয়েকজন।
অভিযোগ, এরপর বেঁধে রেখে ওই তিনজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। রড, লাঠি, বাঁশ দিয়ে চলে বেপরোয়া মারধর। সিকন্দর আজম নামে ওই ব্যক্তির পায়ে ড্রিল মেশিন চালানো হয় বলেও অভিযোগ তার পরিবারের সদস্যদের। অকথ্য নারকীয় এই অত্যাচারের ঘটনায় শেষমেষ একজনের মৃত্যু হল।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates: IC-কে অকথ্য গালাগালি অনুব্রতর, বীরভূমের SP-কে হাজিরার নির্দেশ জাতীয় মহিলা কমিশনের
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ কলকাতা তপসিয়ার ফ্লেমিং হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে সিকন্দর আজম নামে জখম ওই ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, চোর সন্দেহে বেধড়ক মারধর খাওয়া আরও এক ব্যক্তি পার্ক সার্কাসের চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। নিহত সিকন্দর আজমের পরিবারের যাবি, ১৫ তারিখ তাঁর স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন- Kaliganj bomb blast: 'উৎসব করে কি মানুষ মেরে দেবে?' ফুটফুটে মেয়েকে হারিয়ে কান্না থামছেই না মায়ের
মোবাইল চোর সন্দেহে ওকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে। পুলিশে অভিযোগ জানালেও প্রথমে তাতে আমল দেওয়া হয়নি বলে দাবি নিহতের স্ত্রীর। পরে পুলিশ সিকন্দরকে উদ্ধার করে। গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সিকন্দরকে। পরে তাকে তপসিয়ার ফ্লেমিং হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন- Abhijit Gangopadhyay: এখন কেমন আছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? দিল্লি থেকে এল বড় খবর!
তবে শেষ রক্ষা হয়নি, মঙ্গলবার চিকিৎসা চলাকালীন বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ সিকন্দর আজম নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহতের স্ত্রী এই ঘটনায় স্থানীয় রকি, বিকাশ নামে কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন পুলিশে। পুলিশ তদন্তে নেমে কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও অনেকেই এখন পলাতক রয়েছে। দোষী প্রত্যেকের ফাঁসির সাজার দাবি তুলেছে নিহতের স্ত্রী।