Bangladesh Fire:পোশাক তৈরির কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে ছাই সাততলা বহুতল, মৃত্যুমিছিলে হাহাকার, আর্তনাদ, হাসপাতালে স্তূপাকৃতি দেহ

Bangladesh Fire: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হল অন্তত ১৬ জনের। সাততলা একটি পোশাক তৈরির কারখানার তৃতীয় তলায় প্রাথমিক ভাবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এরপরই আগুন গোটা বিল্ডিংয়ে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের গ্রাসে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ওই সাততলা বহুতল।

Bangladesh Fire: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হল অন্তত ১৬ জনের। সাততলা একটি পোশাক তৈরির কারখানার তৃতীয় তলায় প্রাথমিক ভাবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এরপরই আগুন গোটা বিল্ডিংয়ে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের গ্রাসে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ওই সাততলা বহুতল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Dhaka fire 16 dead : পোশাক তৈরির কারখানায় বিধ্বংসী আগুন

পোশাক তৈরির কারখানায় বিধ্বংসী আগুন

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মিরপুর এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হল অন্তত ১৬ জনের। সাততলা একটি পোশাক তৈরির কারখানার তৃতীয় তলায় প্রাথমিক ভাবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এরপরই আগুন গোটা বিল্ডিংয়ে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের গ্রাসে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ওই সাততলা বহুতল। পাশের কেমিক্যাল গুদাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে আগুনের শিখা। আগুন লাগার কয়েক মিনিটের মধ্যেই গোটা ভবন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দমকলের ডিজি তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, “দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে এখন পর্যন্ত ১৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।”

Advertisment

আরও পড়ুন-গণধর্ষণ নয়? দুর্গাপুরকাণ্ডে পুলিশের হাতে নয়া তথ্য

কারখানার পাশে থাকা রাসায়নিক গুদামে ব্লিচিং পাউডার, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও প্লাস্টিক জাতীয় প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল বলে দমক সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই কারণেই আগুন দ্রুত ভয়াবহ রূপ নেয়। প্রায় ১২টি দমকলের ইঞ্জিন টানা তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। উদ্ধারকার্যে দমকলের সঙ্গে সেনাবাহিনী, পুলিশ  ও স্থানীয় মানুষজনও হাত লাগান। ঘটনাস্থলে হাহাকার ও কান্নার রোল পড়ে যায়। বহু মানুষ তাঁদের নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে কারখানার ধ্বংসস্তূপের কাছে ভিড় জমান।

দমকলের তরফে এখনও  আগুন লাগার সঠিক কারণ জানানো হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পাশের রাসায়নিক গুদামটি অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। কারখানা ও গুদামের মালিকদের খোঁজে শুরু হয়েছে জোর তল্লাশি। 

Advertisment

আরও পড়ুন- হরিয়ানা পুলিশের এক পদস্থ কর্তার আত্মহত্যা, চাঞ্চল্যকর কাণ্ডে রহস্য বাড়ছে

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহম্মদ ইউনুস ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি দ্রুত তদন্ত ও মৃতদের পরিবারকে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

উল্লেখ্য  বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বহু মানুষ প্রাণ হারান।   ২০১৩ সালের রানা প্লাজা বিপর্যয়ে ১,১০০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ, প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত।  দেশের জিডিপির ১০ শতাংশ পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত। ফলে, এ ধরনের দুর্ঘটনা শুধু প্রাণহানি নয়, হাজারো পরিবারের জীবিকাকেও চরম বিপদের মুখে ঠেলে দেয়।

আরও পড়ুন-চলন্ত বাসে ভয়াবহ আগুন, মুহূর্তেই ঝলসে মৃত্যু ২০ যাত্রীর, গুরুতর জখম কমপক্ষে ১৬, শোকপ্রকাশ মোদীর

fire Bangladesh