Diamond Harbor Explosion: ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার। বুধবার সন্ধ্যায় আচমকা ঘটে বিস্ফোরণের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার থানার পিছনের একটি পুকুরপাড়ে প্রায় ২০ কেজি বারুদ মজুত রাখা ছিল। সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ সেই বারুদের স্তূপে হঠাৎ আগুন লেগে যায়, যার জেরে ঘটে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ। এদিকে বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ ও দমকলের বিরাট বাহিনী।
এই বিস্ফোরণের পর এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বহু মানুষ বিস্ফোরণের শব্দ শুনে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “মনে হচ্ছিল ভূমিকম্প হয়েছে। এই প্রথম এত জোর আওয়াজ শুনলাম।” পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে,'বেআইনি বাজির বিরুদ্ধে চলেছিল অভিযান। বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত করে রাখা ছিল থানার পাশে। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেই পুলিশ সূত্রে দাবি।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল এক্স-এ এক পোস্টে লিখেছেন, "আজ সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থানার অন্তর্গত ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত ওয়ার্ড নং ১০-এর মাধবপুর এলাকায় একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ, কাউকে ভিতরে ঢুকতে বা বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের দাবি, বিভিন্ন জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত নিষিদ্ধ বাজি সেখানে সংরক্ষিত ছিল। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, বিস্ফোরণটি থানার সন্নিকটে একটি শৌচাগারে ঘটেছে। প্রশ্ন উঠছে—কেন শৌচাগারে বাজি রাখা হবে? কেন পুলিশ প্রকৃত সত্য সামনে আসতে দিচ্ছে না? স্থানীয়দের আরও দাবি, প্রায় পুরো পুলিশ স্টেশনটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। যদিও পুলিশের বক্তব্য, কেউ আহত হয়নি—আশা করা যায়, তা-ই সত্যি। কিন্তু পুলিশের বক্তব্য ও স্থানীয়দের দাবি একেবারে ভিন্ন। ধরুন, পুলিশের দাবি অনুযায়ী ঘটনাটি সত্যি, তবুও প্রশ্ন থেকেই যায়—বর্ষার ভেজা সন্ধ্যায় এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটলো কীভাবে?"
এদিনের বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, "ডায়মণ্ড হারবার থানা বিস্ফোরণে ভস্মিভূত !!!ঘটনাস্থল ডায়মণ্ড হারবার থানা। যেটা জানা যাচ্ছে আটক করা বিষ্ফোরক থেকে বিস্ফোরণ ঘটে ডায়মণ্ড হারবার থানা ভয়াবহ আগুনে প্রায় ভস্মিভূত। দমকল আগুন নেভানোর প্রয়াস করছে।যেমন এলাকা, তেমন থানা, অনুরূপ ঘটনা! আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে এই অবৈধ বিষ্ফোরক মজুত করা হচ্ছিলো কিনা তা তদন্ত করে দেখার জন্যে দাবি জানাচ্ছি"।