Digital Scam: ডিজিটাল অ্যারেস্টের মাধ্যমে হারানো টাকা কেন ফিরে পাওয়া দুষ্কর? তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

Digital Scam: হুহু করে জাল ছড়াচ্ছে সাইবার জালিয়াতি, ডিজিটাল অ্যারেস্টের মাধ্যমে হারানো টাকা কেন ফিরে পাওয়া দুষ্কর? 'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'-এর একটি তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Digital Scam: হুহু করে জাল ছড়াচ্ছে সাইবার জালিয়াতি, ডিজিটাল অ্যারেস্টের মাধ্যমে হারানো টাকা কেন ফিরে পাওয়া দুষ্কর? 'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'-এর একটি তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ডিজিটাল প্রতারণা, সাইবার জালিয়াতি, টাকা ফেরত, অনলাইন ফ্রড, S.P. Oswal cyber fraud, cyber crime India, টাকা উদ্ধার সাইবার ক্রাইম, Indian Cyber Crime Coordination Centre

ডিজিটাল অ্যারেস্টের মাধ্যমে হারানো টাকা কেন ফিরে পাওয়া দুষ্কর? তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

Digital Scam: হুহু করে জাল ছড়াচ্ছে সাইবার জালিয়াতি। ডিজিটাল অ্যারেস্টের মাধ্যমে হারানো টাকা কেন ফিরে পাওয়া দুষ্কর? 'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'-এর একটি তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

Advertisment

আজকালকার ডিজিট্যাল জমানায় সাইবার জালিয়াতি বা  ডিজিটাল জালিয়াতি নামটার সঙ্গে প্রায় সকলেই আমরা কম বেশি পরিচিত। একাধিক ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, খুব কম সংখ্যক লোকই তাদের হারানো টাকা ফিরে পেয়েছেন। বেশিরভাগেরই জীবনের সঞ্চয়ের বড় অঙ্কের টাকা আর ফেরতই পান না। কেন? তদন্তে উঠে এসে সাংঘাতিক সব তথ্য। 

আরও পড়ুন- [ ২১ জুলাই তৃণমূলের 'শহিদ সভা'র দিন 'উত্তরকন্যা অভিযান' BJP-র, ঘোষণা শুভেন্দুর ]

ডিজিটাল জালিয়াতির ফলে হারানো অর্থ না ফিরে পাওয়ার পিছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। তার মধ্যে অন্যতম হল দেরিতে রিপোর্ট করা।

Advertisment

ডিজিটাল জালিয়াতি বেশিরভাগ ঘটনায় দেখা গিয়েছে ভুক্তভোগীদের এটা বুঝতেই অনেকটাই সময় চলে যায় যে তারা প্রতারিত হয়েছেন। এরপর অভিযোগ দায়ের করতে এক দিন বা তার বেশি সময় লাগে। এই সময়ের মধ্যে, প্রতারকরা রাজ্য জুড়ে একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চুরি করা অর্থ স্থানান্তর করে থাকে, ভিন রাজ্যে এমনকী দেশের বাইরেও। 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার আগেই বেশিরভাগ অর্থ জালিয়াতি অ্যাকাউন্ট থেকে নগদে তুলে নেওয়া হয়। এই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির বেশিরভাগেরই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা হয় ভুয়ো ঠিকানা। যার ফলে অর্থ স্থানান্তরের পথ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব হয়। প্রতারকরা অবিশ্বাস্য দ্রুততার সাথে কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সোমবার জানিয়েছে যে ২৯ মিনিটের মধ্যে একটি "প্রতারণামূলক" অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা তোলা হয়েছে।

তবে, একটি হাই-প্রোফাইল মামলা দেখায় যে চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে, এক শিল্পপতি এস.পি. ওসওয়াল একটি ডিজিটাল গ্রেপ্তার কেলেঙ্কারিতে লুধিয়ানায় তার আইসিআইসিআই এবং এইচডিএফসি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৭ কোটি টাকা হারিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত, ৮২ বছর বয়সী এই ব্যক্তি মালদা (১.৫৩ কোটি টাকা) এবং অসমের গুয়াহাটিতে (৩.৭৪ কোটি টাকা) দুটি এসবিআই অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৫.২৭ কোটি টাকা ফিরে পেয়েছেন।

এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাইবার জালিয়াতি শাখা। এছাড়াও, অর্থ স্থানান্তরের প্রথম স্তরে ভুয়ো অ্যাকাউন্টধারীদের ঠিকানাগুলি আসল ছিল তা পুলিশকে অনেকাংশে  সাহায্য করেছিল টাকা উদ্ধারে। পাঞ্জাব পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা যতিন্দর সিং বলেন যে, ডিজিটাল গ্রেপ্তারের ঘটনা রিপোর্ট করার পাঁচ ঘন্টার মধ্যে, সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলি সিল করা হয়। এর ফলে অর্থ উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। 

অবসরপ্রাপ্ত নার্সিং অ্যাসিস্ট্যান্ট কৃষ্ণা দাশগুপ্ত গত বছরের মে মাসে ৮৩ লক্ষ টাকা হারিয়েছেন এবং আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও "এক পয়সাও" আদায় করতে পারেননি। নয়ডা-ভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থার মালিক ৮৪ লক্ষ টাকা হারানোর পর, তিনি সিটি ইউনিয়ন ব্যাংক এবং জনা স্মল ফাইন্যান্স ব্যাংকের সন্দেহভাজন জাল অ্যাকাউন্ট থেকে মাত্র ১৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করতে পেরেছেন। দিল্লির বিজ্ঞানী তিনি তিনটি অ্যাকাউন্টে ৫১.৪৫ লক্ষ টাকা হারিয়েছেন। উদ্ধার হয়েছে মাত্র ২০ টাকা।

তদন্তে দেখা গিয়েছে প্রতারিত হয়েছেন এমন অসংখ্য মানুষ মিলে একটি  হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছেন। এই গ্রুপে কেউ হারিয়েছেন  ২০ লক্ষ টাকা। কেউ আবার হারিয়েছেন  ১০ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডিজিটাল প্রতারকদের জন্য সফট টার্গেট তারাই যারা সোশ্যাল মিডিয়া এবং টেলিগ্রামের মতো মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে পরিবার এবং ব্যাংকিং তথ্য আদান-প্রদান করছেন।

আরও পড়ুন- [ বদলে যাবে রেলযাত্রার অভিজ্ঞতা, যাত্রী তৎপরতায় যুগান্তকারী উদ্যোগের প্রশংসা সর্বত্র ]

 

Cyber Security Digital Arrest