/indian-express-bangla/media/member_avatars/2024/12/31/2024-12-31t044624928z-img-20241202-wa00852.jpg )
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/17/AyCJd0fbVgaHzAGTxQPs.jpg)
'সন্তানদের ভরণ পোষণ করতে ব্যার্থ রাজ্য', DA মামলায় মমতা খোঁচা, কুর্সিতে বসার অধিকার নিয়ে বিরাট প্রশ্ন তুললেন দিলীপ
Dilip Ghosh: 'জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) জুড়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান (Anti-Terror Operation) আরও জোরদার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গত ৪৮ ঘণ্টায় উপত্যকার দুই জেলায় চালানো পৃথক এনকাউন্টারে (Encounter) মোট ৬ জন জঙ্গিকে (Terrorist) 'খতম' করেছে সেনা, পুলিশ ও সিআরপিএফ (CRPF)। নিহতদের মধ্যে রয়েছে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি শহীদ কুট্টি (Shahid Kuttay), যিনি অতীতে এক জার্মান পর্যটকের উপর হামলা সহ একাধিক বড় জঙ্গি কার্যকলাপের সাথে যুক্ত ছিলেন। এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ (J&K Police), সেনাবাহিনী এবং সিআরপিএফ জানিয়েছে, নিহত ছয় জঙ্গির মধ্যে তিনজন জইশ-ই-মহম্মদের সক্রিয় সদস্য ছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে থাকা শহীদ কুট্টি দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর র্যাডারে ছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে।
ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতির পরে শুক্রবার গুজরাটের ভূজ এয়ারবেসে সফর করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর আগে বৃহস্পতিবার তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শুক্রবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ভূজে পৌঁছে বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন এবং সীমান্ত সন্ত্রাস ও যুদ্ধবিরতির পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। তিনি জানান, “অপারেশন সিন্দুর এখনও শেষ হয়নি। যা হয়েছে তা কেবল ট্রেলার, সময় মতো আমরা পুরো চিত্রটি বিশ্বের সামনে আনব।”
'দুর্নীতির ফল...এই সরকারেই সম্ভব', বিধানসভা অচলের বিরাট হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
অপারেশন সিন্দুর নিয়ে রাজনাথ সিংয়ের কড়া বার্তা নিয়ে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "মোদী আগেই বলেছেন ঘরে ঢুকে মারব। সেনা তো আরো এগিয়ে আছে। বলছে বাথরুমে ঢুকে মারব। কারণ ওরা ভয়ে বাথরুমে লুকিয়ে পড়ে। ভারতের এটাই এখন মুড। যারা সমালোচনা করত তারা ভাবতেই পারেনি ভারত এই ক'দিনে কী অ্যাকশন নিয়েছে। পাকিস্তানের মুখ বন্ধ। তাদের মদত দাতাদের মুখ বন্ধ। যুদ্ধের ফায়দা যারা নিত তাদেরও মুখ বন্ধ" ।
গতকাল সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলায় মুথ থুবড়ে পড়েছে রাজ্য। আদালতের নির্দেশ অগাস্টে পরবর্তী শুনানির আগেই বকেয়া ডিএ-এর ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে। এনিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এটা প্রথম নয়। আগেও কোর্ট বহুবার বলেছে। সরকার মানেনি। বলেছে টাকা নেই। যে সরকার তার সন্তানদের ভরণ পোষণ করতে পারেনা তাদের কি ক্ষমতায় থাকা সাজে? আইন আদালত মানেনা। নিজের পক্ষে রায় গেলে সেটা রায়। বিপক্ষে গেলে সেই রায় মানে না। এখন মানুষকে ভাবতে হবে আলাদা আলাদা আন্দোলন হবে নাকি সরকারকে পাল্টে নিজের অধিকার বুঝে নেবেন"।
আম পাড়তে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি, পাহারাদারের এলোপাথাড়ি মারে মৃত্যু নাবালকের, রণক্ষেত্র এলাকা
বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর পুলিশের লাঠি চার্জ প্রশ্নে বিজেপি নেতা বলেন, সুপ্রতীম বাবু যা বলছেন হয়তো কিছুটা ঠিক। এই সহিংস আন্দোলন রাজ্যে নতুন নয়। কিন্তু ওরা যেদিন প্রথম শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছিল সেদিন প্রথম কে লাথি মেরেছিল? কে লাঠিপেটা করেছিল? শিক্ষকদের লাথি মারা হল কেন? পায়ে হাত দিয়ে প্রনামের বদলে লাথি মারা হচ্ছে? যুগ পাল্টে গেছে? পুলিশের এই কু যুক্তি চলবে না। এসপার ওসপার করো। কোর্ট গিয়ে সরকারের বলা উচিত এই ১৮ হাজার যোগ্য। আমরা এদের চাকরি দিতে চাই। পারবেন উনি? স্বেচ্ছাচারী সরকার। বিজেপির সঙ্গে বহু জায়গায় এই জিনিস হয়েছে। আন্দোলনে আমরা মার খেয়েছি। আবার আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এইভাবে যদি আটকে রাখা যেত তাহলে তো দেশে কোথাও সরকার পরিবর্তন হতো না"।
বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানকে আরও কোনঠাসা করার মাস্টারপ্ল্যান, অপারেশন সিন্দুর নিয়ে মোদীর বিরাট কূটনৈতিক পদক্ষেপ
আন্দোলন চলাকালীন বিকাশ ভবনে গিয়ে তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত বচসায় জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। বচসা থেকে হাতাহাতি, ধাক্কা এমনকী সংবাদ মাধ্যমের গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সব্যসাচীর বিরুদ্ধে এনিয়ে বিজেপির প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি বলেন, "আমার জানা নেই। তবে ওনার অভিব্যক্তিতে বোঝা গেছিল কিছুটা। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ওনার যা ভাষা ছিল। হতে পারে উনি ওখানকার কাউন্সিলর। তাই বলে যা ইচ্ছা করবেন? আন্দোলনকারীদের একটা সেন্টিমেন্ট আছে। তাদের উস্কে দেওয়ার কি দরকার? খবরে থাকার জন্য অহেতুক এই বিতর্ক উনি তৈরি করেছেন"।
২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে তৃণমূলের সাংগাঠনিক স্তরে বিরাট রদবদল হয়েছে। বীরভূমে আর জেলা সভাপতি নন কেষ্ট। এই প্রশ্নে দিলীপ ঘোষ বলেন, "কে সভাপতি? উনি নন সেটা তো জানি। মমতা মাঝে মাঝে বলেন এখন উনি নিজেই দেখবেন। উনি আর কি কি দেখবেন? উনি দেখলে কি হয় সেটা তো আমরা তো দেখতে পাচ্ছি"।