Dilip Ghosh On SSC: SSC-এর চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য শেষমেশ বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। শনিবার নবান্নের বৈঠক থেকেই চাকরিহারা একদা এই রাজ্য সরকারি কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গ্রুপ সি ও ডি কর্মীদের মাসিক ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানায় নিহত পর্যটকদের পরিবারের পাশেও দাঁড়িয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে নদিয়ার তেহট্টের নিহত সেনাকর্মীর পরিবারের একজনকে চাকরির প্রতিশ্রুতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গতকাল নবান্নের সভা ঘরে চাকরিহারাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে গ্রুপ C-দের জন্য ২৫ হাজারটাকা এবং গ্রুপ D-দের জন্য ২০ হাজার টাকা ভাতা ঘোষণা করেছেন। এর প্রেক্ষিপ্তে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
তিনি মমতাকে বিঁধে প্রশ্ন তুলেছেন, "ভাতাটা কীসের জন্য? টাকাটা আসবে কোথা থেকে? কতদিন তিনি ভাতা দেবেন? তারা তো চাকরি পেয়েছেন, ৩০-৩৫ বছর বয়সে চাকরি পেয়েছেন, অবসরের বয়স পর্যন্ত ততদিন কী ভাতা দেওয়া হবে? নাকি মমতা বন্দোপাধ্যায় যতদিন থাকবে ততদিন ভাতা দেওয়া হবে? যারা যোগ্যচাকরি প্রার্থী, তারা কী দোষ করলেন? তাদের কেন ভাতা দেওয়া হচ্ছে না? এ প্রশ্নের উত্তর কে দেবে? গ্রুপ সি-গ্রুপ ডি দের ভাতা দেওয়া হলে শিক্ষকরা কি দোষ করল তাদের কেন ভাতা নয়, পালটা প্রশ্নে সরব হয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
গতকালের বীরভূমে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্ধের প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা বলেন, "সারা বাংলায় হিংসার পরিবেশ শুরু হয়ে গিয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। যারা সমাজবিরোধী তাদের মনে কোন ভয় নেই। সরকার নিজেকে বাঁচতে ব্যস্ত। তাহলে সমাজকে কে বাঁচাবে?
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনায় সিন্ধু চুক্তি বাতিল করেছে ভারত। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, যে দেশ বেয়াড়া হয় তাদের টাইট দেওয়ার বেশ কিছু রাস্তা আছে। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়া, তাদের ভাতে মারা। দেখিয়ে দেওয়া আমরা সহজে ছাড়ব না। যুদ্ধ বিশ্ব চাইছে না, তাও কোন উপায়ে বোঝানো দরকার। বিড়াল ভয় পেলে যেমন নিজেকে শক্তিশালী দেখানোর চেষ্টা করে পাকিস্তানের অবস্থা এখন তাই।
বানপুরে জমি মাফিয়া দেয় বিবাদে গতকাল সন্ধ্যায় গুলি চালনার ঘটনায় প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বলেন,"রাজ্যের চারিদিকে গুলি চলছে। সবই টিএমসির ঝাণ্ডার তলায়। শুধু বীরভূম নয়, জেলায় জেলায় একই ছবি। এটাও তারা বুঝে গেছে সরকারও বেশীদিন নেই। কারোর উপর সরকারের কোন কন্ট্রোলও নেই। যতটা পারা যায় লুটেপুটে নাও। কামিয়ে নাও যতদিন চলে"।
ওয়াকফ সংশোধন আইন সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা পাল্টা হলফনামা দাখিল করেছে। এতে সরকার স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে এই আইন কোনও ব্যক্তির ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে না। ওয়াকফ ইস্যুতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জারি রয়েছে প্রতিবাদ। সে প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওয়াকফ বোর্ডের নাম করে যে ধরণের লুটপাট চলছে সেটা বন্ধ করা দরকার, সেই লক্ষ্যেই আনা হয়েছে ওয়াকফ আইন"।