এবার তৃণমূলের তারকা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযোগ জানাল চিকিৎসকদের সংগঠন। কাঞ্চনের বিরুদ্ধে '২০০৯ মেডিকেয়ার অ্যাক্ট' অনুযায়ী উপযুক্ত পদক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন চিকিৎসক নেতা মানস গুমটা।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই কলকাতার ট্রপিকাল মেডিসিন হাসপাতালের আউটডোর বিভাগে নিজের এক আত্মীয়কে নিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের অভিনেতা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। হাসপাতালে সেই সময় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গত মঙ্গলবার কাঞ্চন মল্লিক স্ত্রী শ্রীময়ী ও তাঁর দিদাকে নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। OPD-সে সময় চিকিৎসক অধ্যাপক মেহবুব আলমের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন কাঞ্চন।
এরপরেই নাকি ওই চিকিৎসককে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দেন বিধায়ক। অন্য রোগীকে ছেড়ে কেন তাঁর আত্মীয়কে আগে দেখে দেননি ওই চিকিৎসক তা নিয়ে রীতিমতো ঝগড়া শুরু করে দেন কাঞ্চন। এমনকী ওই চিকিৎসককে 'দেখে নেওয়ার' হুমকিও পর্যন্ত দেন কাঞ্চন। কাঞ্চনের স্ত্রীও সেই সময় চিকিৎসকের নাম রেজিস্ট্রেশন নম্বর জানতে চান বলে অভিযোগ অন্যান্য রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের।
আরও পড়ুন- Suvendu on Kashmir:'আগে প্রাণ বাঁচান, ভুলেও কাশ্মীর যাবেন না', শুভেন্দুর মন্তব্যের প্রবল সমালোচনায় তৃণমূল
এদিকে, হাসপাতালে গিয়ে তৃণমূলের তারকা-বিধায়কের এহেন আচরণের প্রবল নিন্দায় সরব চিকিৎসক সমাজ। চিকিৎসকদের সংগঠন এই ব্যাপারে ন্যায়বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরসের সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসক মানস গুমটা বলেন, "এই ঘটনার ধিক্কার, ক্ষোভ জানানোর ভাষা নেই। উনি (কাঞ্চন মল্লিক) একজন বিখ্যাত মানুষ, সর্বোপরি উনি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। ওনার কাছ থেকে দায়-দায়িত্ব কর্তব্য, সমাজ শিখবে। তিনি নিজে একটি বড়সড় মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে যা করলেন সেটাকে এককথায় গুণ্ডামি ছাড়া কিছু বলা যায় নাকি! এর আগেও দেখেছি ওনার চিকিৎসার বিল নিয়ে আরও অনেক বিষয় নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। তাই যা ঘটেছে তার নিন্দা জানাচ্ছি।"
আরও পড়ুন- West Bengal News live updates:দিল্লিতে আটক বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে? কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
তিনি আরও বলেন, "জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ও অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। কিছু না কিছু ব্যবস্থা নিতেই হবে। '২০০৯ মেডিকেয়ার অ্যাক্ট' বলে একটি আইন আছে। সেই আইনে বলা আছে চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের নিগ্রহ হলে সেই আইনে বিচার হওয়ার কথা। ফলে এই আইনে তাদের বিচার হোক এটা আমরা চাইছি।"