Bihar SIR: ভোটমুখী বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের (SIR) মাঝেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্কের ঢেউ। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি 'রেসিডেনশিয়াল সার্টিফিকেট' যেটিতে রয়েছে একটি কুকুরের নাম, ‘Dog Babu’, বাবার নাম ‘Kutta Babu’, আর মায়ের নাম ‘Kuttiya Devi’। শংসাপত্র অনুযায়ী, কুকুরটি পাটনার কৌলিচক এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এমনকি নথিতে বিহার সরকারের সিল ও একটি গোল্ডেন রিট্রিভারের ছবিও রয়েছে।
এই নথি সামনে আসতেই বিরোধী দল কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ-সহ একাধিক দল এই ইস্যুতেবিজেপিকে আক্রমণ করেছে এবং ভোটার তালিকা প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তবে এবার এই বিতর্কে নির্বাচন কমিশন (ECI) জানিয়ে দিল— এই নথি ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর।
ECI-র বিবৃতি: ‘Dog Babu’ নেই ভোটার তালিকায়
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অফিসিয়াল সোশ্যাল হ্যান্ডেলে #ECIFactCheck ট্যাগে স্পষ্ট জানানো হয়েছে,“বিহারের কোনও ভোটার এই ধরণের ভুয়ো নথি নির্বাচন কমিশনে জমা দেননি। এটি সম্পূর্ণ ভুল এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য।” কমিশন আরও জানিয়েছে, "এই সার্টিফিকেট কোনও ভোটার তালিকা সংশোধনের অংশ নয়, এবং এই নিয়ে ভুয়ো প্রচার ছড়ানো হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে"। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে বিহার রাজস্ব দফতর সূত্রে এই সার্টিফিকেট ২৪ জুলাই বিকেল ৩:৫৬ মিনিটে RTPS পোর্টাল থেকে জারি হয়, কিন্তু মাত্র ২ মিনিটের মধ্যে তা বাতিল করে দেওয়া হয়। পাটনার জেলাশাসক, থিয়াগারাজন এস এম জানিয়েছেন, নথির সঙ্গে থাকা QR কোড ও সার্টিফিকেট নম্বর যাচাইয়ে ব্যর্থ হয়েছে। ঘটনাটিকে চক্রান্ত বলে উল্লেখ করে, জড়িত সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির আশ্বাস দেন তিনি।
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি এবং কমিশনকে আক্রমণ করে বলেন,“BJP প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। অনেকের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। কমিশন বিজেপির দাসত্বে পরিণত হয়েছে। কুকুরের নামে শংসাপত্র করছে, অথচ বাঙালিদের SIR-এর নামে হেনস্থা করা হচ্ছে।” তিনি দাবি করেন, “ভুয়ো কার্ড তৈরি করে ভোট লুঠের চেষ্টা করছে বিজেপি। এটা চাটুকারিতা নয়? আগামী দিনে বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে।”
বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। ভোটার তালিকা সংশোধন ও রেসিডেনশিয়াল সার্টিফিকেট ইস্যুতে চরম গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। ‘Dog Babu’-র পরে এবার একটি ট্র্যাক্টরের নামে রেসিডেনশিয়াল সার্টিফিকেট ইস্যু করেছে বিহার সরকার। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই কমিশন ও বিজেপিকে নিশানা করে সুর ছড়িয়েছে ঘাসফুল শিবির। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজন গ্রেফতার এবং একাধিক কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে।