/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/12/puja-2025-09-12-10-36-10.jpg)
Durga Puja 2025: মহিলাদের উদ্যোগে শুরু এই পুজো ঘিরে এখন থেকেই উন্মাদনা ছড়িয়েছে গ্রামজুড়ে।
Durga Puja: গ্রামে আগে দুর্গাপুজো হত না। গ্রামের মহিলাদের পুজো দেখতে বা পুজো দিতে যেতে হত প্রায় ৪ কিলোমিটার দূর পাশের গ্রামে। তাই গ্রামের মহিলারা দুর্গাপুজোর আয়োজনে উদ্যোগী হয়। আর তাদের এই পুজোর আয়োজনে সাহস জোগায় রাজ্য সরকারের দেওয়া মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান। সেই অনুদান থেকেই গ্রামের মহিলারা চাঁদা দিয়ে শুরু করেন দুর্গাপুজো। ২০২৩ সালে প্রথম গ্রামের মহিলারা নিজেদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রাপ্ত অর্থ থেকে শুরু করেন দুর্গাপুজো। চলতি বছর সেই পুজো তৃতীয় বছরে পড়ল।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের তমলুক থানার অন্তর্গত ধুরপা গ্রাম। গ্রামে বাস প্রায় শতাধিক পরিবারের। এই গ্রামে হত না দুর্গাপুজো। চারিদিকে যখন পুজো পুজো গন্ধ, তখন এই গ্রামে পরিবেশ গুরুগম্ভীর। কোথাও যেন বিষাদের ছোঁয়া! কারণ গ্রামে বাঙালির বড় উৎসব দুর্গাপুজোর আয়োজন হত না কোনওদিনই।
পুজোয় মন খারাপের মেঘ দূর করতে গ্রামের মহিলারা সর্বপ্রথম এগিয়ে আসেন। শুরু করেন গ্রামে দুর্গাপুজো। আর তাদের এই দুর্গাপুজোর আয়োজনে সাহস জোগায় রাজ্য সরকারের দেওয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। প্রথমে ৫০০ টাকা পেতেন অনুদান হিসেবে,সেই টাকাই চাঁদা হিসেবে দিতেন। পরে ভাতা বেড়ে দাঁড়ায় ১০০০ টাকায়।পুজোর বহর আরো বাড়ে।
চলতি বছর ধুরপা গ্রামের মাতৃশক্তি পুজো কমিটির দুর্গাপুজো তৃতীয় বছরে পড়ল। এই বিষয়ে পুজো কমিটির সম্পাদিকা শম্পা জানা বলেন, "গ্রামে দুর্গাপুজো হত না। পুজোর আনন্দে মেতে ওঠা হত না সেভাবে। সে ভাবনা থেকেই গ্রামে দুর্গাপুজোর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু গ্রামের মেয়েরা সেভাবে স্বাবলম্বী না হওয়ায় দুর্গাপুজো কিভাবে আয়োজন করা হবে সে নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয়। আর সব চিন্তার অবসান ঘটেয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। গ্রামের মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এক মাসের টাকা পুজোর জন্য দেওয়া হয়।"
তমলুকের এই ধুরপা গ্রামে মাতৃ শক্তি পুজো কমিটিতে মোট ৮০ থেকে ৯০ জন মহিলা রয়েছেন। মহিলারা তাদের লক্ষীর ভান্ডারে প্রাপ্ত টাকা থেকে এক মাসের টাকা দুর্গাপুজোর আয়োজনে তুলে দেন। এর পাশাপাশি মহিলারা পাড়ায় পুজোর জন্য চাঁদা আদায় করেন।
আরও পড়ুন-Kolkata weather Todyay:পুজোর মুখে আবহাওয়ায় ফের বিরাট বদল! আজ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস এই জেলাগুলিতে
মহিলারা জানান তাদের এই পুজো আয়োজনে সব থেকে বড় সাহস জুগিয়েছে রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। চলতি বছর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকার পরিমাণ বেড়েছে। ফলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে আয়োজন হওয়া এই পুজোর জৌলুসও শেষ বছরের তুলনায় এ বছর বাড়বে বলে জানান মহিলারা।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us