বাড়ি ফাঁকা, সেই সুযোগে পুরো বাড়ি কার্যত 'ফাঁকা' করে দিল চোর। শুধু একটা নয়, এলাকার চারটি বাড়িতে এমন চুরির ঘটনায় আতঙ্কে প্রহর গুনছে অন্ডালবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের জে কে রোপওয়ে কলোনিতে। বৃহস্পতিবারের রাতের এমন ঘটনার পর থেকেই ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে আছে জে কে রোপওয়ের কলোনি। খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এলাকা পরিদর্শন করে গোটা ঘটনাটির তদন্তও শুরু করা হয় অন্ডাল পুলিশের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন- ঘুচল পাণ্ডবেশ্বর সংরক্ষিত টিকিট সমস্যা, কাউন্টার উদ্বোধনে বাবুল সুপ্রিয়
ঠিক কী ঘটেছিল?
বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ছিলেন না অন্ডালের জে কে রোপ ওয়ের কলোনির বাসিন্দা সুমন মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর পরিবার। সেই সুযোগে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঢুকে আলমারি ভেঙে নগদ টাকা, গয়নাগাটি-সহ বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রীও চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপরই জানা যায় অন্যান্য তিনটি বাড়িতেও দরজা ভেঙেই চোরেরা ঢোকে। তবে টাকা পয়সা ছাড়া বিশেষ কিছু না মেলায় সেগুলি হাতিয়ে নিয়েই চম্পট দেয় চোরেরা, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন- অবসরের এক যুগ পরেও বিনা বেতনে স্কুলে পড়িয়ে চলেছেন দৃষ্টিহীন শিক্ষক
বৃহস্পতিবার রাতের এমন ঘটনার পর শুক্রবার প্রথমে স্থানীয়রা দেখেন সুমন মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির দরজা ভাঙা। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় বাড়ির মালিককে। খবর পেয়ে ছুটে এসে কার্যত মাথায় হাত মুখোপাধ্যায় পরিবারের। বাড়িতে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা এবং চার পাঁচ ভরি গয়না মিলিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকা চুরি হয়েছে বলেই তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। গৃহকর্ত্রী গার্গী মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমরা দেশের বাড়িতে ছিলাম। সে জন্য ঘর ফাঁকাই ছিল। চোরের দল সেই খবর পেয়েই ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে চুরি করেছে"। অন্যদিকে লক্ষাধিক টাকার সম্পত্তি হারিয়ে গৃহকর্তা সুমন মুখোপাধ্যায় বলেন, "এলাকায় পুলিশি টহল দেবার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন এবং চোরের সন্ধান করে তাদের জেলের পাঠানো হোক।"
আরও পড়ুন- বিষাক্ত আগাছায় ঢেকেছে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার এলাকা, নির্লিপ্ত পুরসভা
এভাবে চুরির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও খবর পেয়েই চারটি বাড়ি এবং গোটা এলাকা পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছে সে বিষয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে অন্ডাল থানার পুলিশ।
দুর্গাপুরের সব খবর পড়ুন এখানে