ECI On Rahul Gandhi: ভোটার তালিকা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তোলার জেরে কংগ্রেস সাংসদ ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে ফের কড়া ভাষায় সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের স্পষ্ট বার্তা— অভিযোগের সমর্থনে হলফনামা জমা দিন অথবা মিথ্যা অভিযোগের জন্য দেশের কাছে ক্ষমা চান। কমিশনের মতে, ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না করার অর্থ হলো তিনি নিজের অভিযোগে অটল নন।
রাহুল গান্ধী এর আগে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও কর্ণাটকে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোট চুরির গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন। সূত্রের খবর, শনিবার কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, অভিযোগ সত্য হলে তাঁর উচিত হলফনামা জমা দেওয়া। আর যদি তা না করেন, তাহলে দেশের জনসাধারণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। কমিশন এর আগেও তাঁকে একই নির্দেশ দিয়েছিল। সূত্রের খবর, রাহুলকে মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের জারি করা ইস্তেহারে স্বাক্ষর করার কথাও বলা হয়েছে। না করলে তাঁকে ‘অযৌক্তিক অভিযোগের’ জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। কমিশনের বক্তব্য, অভিযোগে বিশ্বাস থাকলে ইস্তেহারে স্বাক্ষরে আপত্তি থাকার কথা নয়।
তবে রাহুল গান্ধী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কোনও ইস্তেহারে স্বাক্ষর করবেন না। তাঁর বক্তব্য, সাংসদ হিসেবে তিনি ইতিমধ্যেই সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি সরকারের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকা কারসাজি ও ভোট চুরির অভিযোগে সরব হন।
এদিকে, বিজেপি কড়া সুরে পাল্টা আক্রমণ করেছে। দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া শনিবার বলেন, যদি রাহুল গান্ধীর নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা না থাকে, তবে নৈতিক কারণে তাঁর লোকসভা সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাকেও যথাক্রমে রাজ্যসভা ও লোকসভা থেকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান তিনি।
ভাটিয়ার অভিযোগ, রাহুল সংবাদ মাধ্যমের সামনে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেন, কিন্তু যখন সাংবিধানিক সংস্থা প্রমাণ ও লিখিত ঘোষণা চায়, তখন তা দিতে অস্বীকার করেন। তিনি আরও দাবি করেন, কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদেরও পদত্যাগ করা উচিত, কারণ তাদের শীর্ষ নেতারা নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা রাখেন না।