Ambani ED Raid: দেশের শিল্প মহলে হুলস্থূল! আম্বানির বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি বেনিয়মের অভিযোগ, তল্লাশিতে ED
Ambani ED Raid: সাতসকালে শিল্পপতি অনিল আম্বানির একাধিক সংস্থায় ইডির হানা। দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআইয়ের দায়ের করা একাধিক এফআইআরের ভিত্তিতে 'মানি লন্ডারিং' মামলায় এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
Ambani ED Raid: সাতসকালে শিল্পপতি অনিল আম্বানির একাধিক সংস্থায় ইডির হানা। দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআইয়ের দায়ের করা একাধিক এফআইআরের ভিত্তিতে 'মানি লন্ডারিং' মামলায় এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
দেশের শিল্প মহলে হুলস্থূল! আম্বানির বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি বেনিয়মের অভিযোগ
Ambani ED Raid: দেশের শিল্প মহলে হুলস্থূল! সাতসকালে শিল্পপতি অনিল আম্বানির একাধিক সংস্থায় ইডির হানা। দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআইয়ের দায়ের করা একাধিক এফআইআরের ভিত্তিতে 'মানি লন্ডারিং' মামলায় এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
Advertisment
সূত্রের খবর, দিল্লি ও মুম্বই মিলিয়ে প্রায় ৩৫টি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়েছে। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হয়েছে ৫০টিরও বেশি সংস্থার নথি। ইতিমধ্যেই অন্তত ২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তদন্তে উঠে এসেছে, এটি একটি ‘পরিকল্পিত প্রতারণার ষড়যন্ত্র’, যার মাধ্যমে ব্যাঙ্ক, বিনিয়োগকারী, শেয়ারহোল্ডার এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
সম্প্রতি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (SBI) রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস (RCom) এবং এর প্রোমোটার অনিল আম্বানিকে ‘প্রতারক’ (fraud) বলে ঘোষণা করেছে। RCom ও এর সহযোগী সংস্থাগুলি মিলে বিপূল পরিমাণে ঋণ নেয়, যার মধ্যে তহবিল ব্যবহারে ‘বিচ্যুতি’ ধরা পড়েছে। তহবিল ঘুরপথে একাধিক গ্রুপ সংস্থার মাধ্যমে সরানো হয়েছে বলে ব্যাঙ্কের দাবি। তবে অনিল আম্বানির ব্যক্তিগত বাসভবনে তল্লাশি চালানো হয়নি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বই ও দিল্লি মিলিয়ে RAAGA (Reliance Anil Ambani Group) অন্তর্ভুক্ত ৫০টির বেশি সংস্থার ৩৫টিরও বেশি অফিস, দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট প্রাঙ্গণে তল্লাশি চালানো হয়েছে। PMLA-এর অধীনে প্রায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
RAAGA কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সূত্রের খবর, দেশে ৪৮ থেকে ৫০টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছে ED। সিবিআই (CBI)-এর তরফে দুটি FIR দায়ের হওয়ার পরই এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, RAAGA কোম্পানিগুলি বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে বড় অঙ্কের টাকা ঋণ নিয়ে সেই টাকার অপব্যবহার করেছে। অর্থাৎ, ঋণের টাকা অন্য কোম্পানিতে সরিয়ে সাধারণ মানুষ, বিনিয়োগকারী ও সরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এই তদন্তে SEBI, ন্যাশনাল হাউসিং ব্যাঙ্ক (NHB), ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথরিটি (NFRA) এবং ব্যাঙ্ক অফ বড়োদা (Bank of Baroda)-র মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ED-কে তথ্য দিয়েছে।
ED-এর প্রাথমিক তদন্তে বহু চমকে দেওয়ার মতো তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্ক (Yes Bank) থেকে RAAGA কোম্পানিগুলি প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকার ঋণ নেয়। অভিযোগ, সেই টাকা অন্যত্র ঘুরিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি, ঋণ অনুমোদনের জন্য ইয়েস ব্যাঙ্কের আধিকারিক ও প্রোমোটারদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার ED দেশের নানা প্রান্তে একসঙ্গে ৫০টি স্থানে তল্লাশি চালাচ্ছে। তদন্তে উঠে এসেছে, ইয়েস ব্যাঙ্ক RAAGA কোম্পানিগুলিকে ঋণ দেওয়ার সময় নিজেদের নিয়ম মানেনি। তদন্তে উঠে এসেছে আরও বিস্ময়কর তথ্য—একই দিনে ঋণ আবেদন ও ঋণ মঞ্জুর হয়েছে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ঋণ মঞ্জুর হওয়ার আগেই টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে। একাধিক কোম্পানির ডিরেক্টর ও ঠিকানাও এক, যা গোটা বিষয়টিকে আরও সন্দেহজনক করে তুলেছে।
SEBI-র নজরে RHFL
SEBI জানিয়েছে, Reliance Home Finance Ltd (RHFL) এক বছরে কর্পোরেট ঋণের পরিমাণ ৩,৭৪২ কোটি থেকে ৮,৬৭০ কোটি টাকায় বাড়িয়ে দেয়। এই হঠাৎ ঋণ বৃদ্ধি ED সন্দেহের চোখে দেখছে। এই বিষয়ে SEBI-সহ অন্যান্য সংস্থাগুলি ED-কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এই হাইভোল্টেজ আর্থিক প্রতারণা মামলার তদন্তে ED ও CBI সমান্তরালভাবে কাজ করছে। শিগগিরই একাধিক সংস্থা ও ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।