New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2024/12/10/kYwh7mzS0qkOMoKBx0Oz.jpg)
ED Raid: ইডির অভিযান।
ED Raid: মঙ্গলবার সকালে ওই ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পাঁচ সদস্যের একটি দল। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত একটানা চলে জিজ্ঞাসাবাদ।
ED Raid: ইডির অভিযান।
ED Raid: সামান্য টেলারিং ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টে হঠাৎ করে ১০ লক্ষ টাকা জমা পড়া আবার ওই দিনেই ওই টাকা তুলে অন্যকে পরিষোধ। এর রহস্য উদঘাটনে মঙ্গলবার দিনভর ইডির তল্লাশি চলল পূর্ব বর্ধমানে। মঙ্গলবার সকালে বর্ধমানের লস্করদিঘির পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা মইনুল হাসান মল্লিকের বাড়িতে ইডির একটি টিম হানা দেয়। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আর তা নিয়ে এদিন ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় শহর বর্ধমানে।
ইডির পাঁচ জনের একটি দল এদিন সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যা ৫ পর্যন্ত ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালায় মইনুল হাসান মল্লিক ও তাঁর পরিবার সদস্যদের। কী কারণে ইডির হানা তা অবশ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে গোপন রাখেননি মইনুল। তিনি জানান, গত ২১ নভেম্বর তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা দেয় সুকান্ত ব্যানার্জী নামে একজন পরিচিত। সুকান্তর বাড়ি দক্ষিণেশ্বরে। ওই দিনই সুকান্তর কথা মতো তিনি অপর একজনকে ওই ১০ লক্ষ টাকা তুলে দেন বর্ধমানের ভাঙাকুঠি এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখা থেকে। যদিও টাকা তুলে যে ব্যক্তিকে তিনি দিয়েছেন সেই ব্যক্তি তাঁর অপরিচিত নয় বলে মইনুল হাসান মল্লিক দাবি করেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, "ওই ১০ লক্ষ টাকার লেনদেনের পরিপেক্ষিতেই বাড়িতে ইডি হানা দেয়।"
কোভিডের পর কাতারে দেড় বছরের মতো ছিলেন মইনুল হাসান। সেখানে তিনি টেলারিংয়ের কাজ করতেন। আবাস যোজনার ঘর তিনি পেয়েছেন। সেই ঘর তৈরির জন্য তিনি ১ লক্ষ টাকা পান। এরই পাশাপাশি তিনি ১০ লক্ষ টাকা ধার করেন। মল্লিক পরিবারের ছোট ছেলে হাসান। তাঁরা দাদার বাড়ি একই জায়গায়। বাড়িতে তাঁর বাবা-মাও আছেন। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তেমন ভাল নয়। হাসান জানান, ইডি আধিকারিক তাঁকে সাত দিন সময় দিয়েছে। এই সাত দিনের মধ্যে ওই ১০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ইডির হাতে তুলে দিতে হবে। না হলে তাঁর বাড়ি সিজ করার পাশাপাশি তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলেও ইডি ইডি আধিকারিকরা এদিন জানিয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: পাতালপথে নয়া ইতিহাস কলকাতা মেট্রোর, যাত্রী-স্বার্থে মারকাটারি তৎপরতা 'সুপারহিট'
এদিকে, সুকান্ত ব্যানার্জীর সঙ্গে এদিন ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি হাসানকে চেনেন না বলে ইডি আধিকারিকদের জানান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইডি আধিকারিকরা এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে মইনুল হাসান মল্লিকের স্ত্রী হালিমা খাতুন বলেন, "বাড়িতে আমার সাত বছরের সন্তান রয়েছে। কোনও অন্যায় ঘটনায় আমরা জড়িত নই।"