/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/09/edo-2025-09-09-18-10-33.jpg)
প্রতীকী ছবি।
গরু, কয়লা পর এবার বালি। গতকাল সকাল থেকে শহর কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের জেলায় জেলায় ২৩ টি জায়গায় হানা দিয়েছিল ED। সোমবার সকাল থেকে টানা তল্লাশি চালিয়ে মেদিনীপুরের বালি ব্যবসায়ীর বাড়িতে মিলেছে বান্ডিল বান্ডিল নোট। শুধু তাই নয়, ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকেও বিপুল পরিমাণ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে এটি ইডি সূত্রে খবর মিলেছে।
পুজোর মুখে এবার বালি পাচার মামলা নিয়ে তদন্তের গতি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গতকাল মেদিনীপুরের শহরের এক ব্যবসায়ী সৌরভ রায়ের বাড়িতে আচমকা হানা দেয় ইডি।
আরও পড়ুন- South 24 Parganas News:সূত্রের খবরে অতর্কিতে হানা! পালানোর পথই পায়নি দুষ্কৃতীরা, বিরাট গ্রেফতারি
যমুনাবলি এলাকার ওই বাড়িতে টানা ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে তল্লাশি অভিযান। ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে নগদ ৬৫ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছেন ইডির আধিকারিকরা। বিপুল পরিমাণ ওই টাকার উৎস সম্পর্কে কোনও সদুত্তর মেলেনি ব্যবসায়ীর কাছে, এমনই খবর সূত্রের।
অন্যদিকে গতকাল ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। সেখান থেকেও ২৫ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর মিলেছে। উল্লেখ্য, সোমবার সকালে শহর কলকাতারও দুটি ঠিকানায় হানা দিয়েছিল ইডি। এছাড়াও ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুরে তল্লাশি অভিযানে যায় ইডি।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে চলে অভিযান। বালি পাচার করে কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছে একটি চক্র, এমনই সন্দেহ তদন্তকারীদের। বিপুল পরিমাণ ওই কালো টাকা সাদা করতে বিমা-সহ একাধিক ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেও ইডি সূত্রের দাবি। যদিও এখনও পর্যন্ত ইডির এই তল্লাশি অভিযান ঘিরে সংস্থার তরফে স্পষ্ট কোনও তথ্য মেলেনি।