Edited pornographic pictures threatened to go viral minor girl committed suicide due to humiliation: পাঁচ লক্ষ টাকা না দিলে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে নাবালিকার অশ্লীল ছবি! এমন হুমকি দিয়ে ফোন করা যুবকের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে বেধড়ক মারধর করা হয় নাবালিকার বাবাকে। এই ঘটনা মেনে নিতে না পেরে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই নিজের জীবনের ইতি ঘটিয়ে দেয় নাবালিকা। এই ঘটনা জানাজানি হতেই শুক্রবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। মেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন ভিনরাজ্যে বসে ফোন করে হুমকি দিয়ে মোটা টাকা দাবি করেছেন এলাকার যুবক হাসিনুর রহমান ওরফে বান্টি। তার বিরুদ্ধে জামালপুর থানায় FIR দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। দায়ের হওয়া সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত যুবকের বাবাকে গ্রেপ্তার করে তাঁর ছেলের নাগাল পেতে চাইছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত হাসিনুর রহমানের বাবার নাম শেখ মশিয়ার রহমান। শনিবার ভোর রাতে কাঁটাগড়িয়া গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসডিপিও(বর্ধমান দক্ষিণ) অভিষেক মণ্ডল বলেন, “নাবালিকার বাবার আনা অভিযোগের ভিত্তিতে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া সহ একাধীক অপরাধের ধারার মামলা রুজু হয়েছে। ধৃত শেখ মশিয়ার রহমানকে এদিনই পেশ করা হয়েছে বর্ধমান আদালতে। ভিন রাজ্যে কর্মরত অভিযুক্ত যুবক হাসিনুরের নাগাল পেতে ও ঘটনার তদন্তের স্বার্থে মশিয়ার রহমানকে ৭ দিন পুলিশি হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত যুবক হাসিনুরের গ্রেপ্তার হওয়া সময়ের অপেক্ষা।"
নাবালিকার বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর নাবালিকা মেয়ে সপ্তম শ্রেণীতে পাঠরত ছিল। ফোন করে তাঁর মেয়েকে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্ত্যক্ত করছিল এলাকার যুবক হাসিনুর রহমান। শুধু উত্ত্যক্ত করাই নয়। নাবালিকার বাবার দাবি, "ভিন রাজ্যে বসেই তাঁর মেয়ের ছবি ও এলাকার অপর আর এক যুবকের ছবি কোনওভাবে জোগাড় করে হাসিনুর। তারপর সেই ছবি এডিট করে হাসিনুর অশ্লীল ছবি তৈরি করে।" নাবালিকার বাবা পুলিশকে এও জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁর বাড়ির ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ওই অশ্লীল ছবি পাঠায় হাসিনুর। সাথে সাথে সে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। ৫ লক্ষ টাকা না দিলে ওই অশ্লীল ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে বলেও হাসিনুর হুমকি দিয়েছে।
গ্রামের যুবকের এমন হুমকি দেওয়ার বিষয়টি কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি নাবালিকার পরিবার। নাবালিকার বাবা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে যুবকে হাসিনুরের বাড়িতে যান। তখন ছেলের কীর্তির জন্য অনুশোচনা করার পরিবর্তে যুবক হাসিনুরের পরিবার নাবালিকার বাবাকে ব্যাপক মারধর করে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এদিকে বাবাকে মারধরের ঘটনার কথা জানতে পেরে মানসিক অবসাদে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে বাড়ির দোতলার ঘরের সিলিংয়ে ঝুলে পড়ে নাবালিকা।
আরও পড়ুন- spoiled paddy: অতিবৃষ্টির জের, পচন রোগে ২ হাজার একর জমির ধান নষ্ট
সেই খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ নাবালিকার বাড়িতে পৌঁছে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। অভিযুক্ত যুবক ভিন রাজ্যে থাকলেও তাকে জালে পুরতে পুলিশি তৎপরতা এখন তুঙ্গে উঠেছে। পুলিশের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক মহারাষ্ট্রে রয়েছে। সেখান থেকে তাকে পাকড়াও করে আনতে পুলিশের একটি দল ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।