man drive toto himself from Murshidabad to dankuni with his wife for treatment: অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার পয়সা ছিল না, অসুস্থ স্ত্রীকে নিজের টোটোয় চাপিয়ে কলকাতার হাসপাতালে রওনা দিয়েছিলেন প্রৌঢ়! পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থেকে ডানকুনি প্রায় ষোলো ঘন্টা টোটো চলার পর হুগলির ডানকুনিতে ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায়। হাউসিং মোড়ে টোটো চার্জ দেওয়ার জন্য খোঁজ নিতে গেলে স্থানীয়রা দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
উপেন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মুর্শিদাবাদের সালারে তাঁর বাড়ি। স্ত্রী শিবানী কিডনির অসুখে ভুগছেন।বিভিন্ন হাসপাতালে দেখিয়েছেন। সব জায়গায় নানা পরীক্ষার কথা বলা হয়। অর্থের অভাবে সেই পরীক্ষা করতে পারেননি। ছেলের উচ্চমাধ্যমিক পড়া বন্ধ হয়েছে স্ত্রীর অসুস্থতা ও অর্থের অভাবে।
কয়েকদিন অসুস্থতা বাড়লে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যান স্ত্রীকে। সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয় তাঁকে। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার সংস্থান নেই তাই উপেনবাবু স্ত্রী ও ছেলে অনিরুদ্ধকে নিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে সড়ক পথে টোটো করে কলকাতা মেডিক্যালে রওনা দেন। প্রায় ১৬ ঘন্টা পর হুগলির ডানকুনিতে টোটোর ব্যাটারি চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেখানে চার্জ দিতে গেলে বিষয়টি জানতে পারেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন কান পাতছিল না লোকাল থানা, SP-কে জানাতেই 'অ্যাকশন'! নাটকীয় গ্রেফতারি!
ডানকুনি পুরসভার চেয়ারপার্সন হাসিনা শবনমের কাছে খবর যায়। চেয়ারপার্সন একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন। রাতেই স্ত্রীকে নিয়ে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজের উদ্যেশ্যে রওনা দেন উপেনবাবু। তিনি জানান অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া চাইছিল ৫-৬ হাজার টাকা। সেই টাকা তাঁর কাছে নেই। ডানকুনির স্থানীয়রা কিছু টাকা তুলে দেন, খাবার-জল দেন।
আরও পড়ুন যমে-মানুষে টানাটানি ৭০ দিন! শিশু দিবসেই যেন জীবন ফিরে পেল একরত্তি
হাসিনা শবনম বলেন, 'একজন টোটো করে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে যাচ্ছিলেন কলকাতার হাসপাতালে জানতে পেরে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করি।' মেডিক্যাল কলেজে গেলেও সেখানে ভর্তি করা যায়নি শিবানী দেবীকে। সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে শম্ভুনাথ পন্ডিতে। দুপুর একটা পর্যন্ত স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরছেন, হাসপাতালে ভর্তি করতে পারেননি বলে জানান উপেন বন্দ্যোপাধ্যায়।।