5 are Arrested in the case of snatching in Memari: গরু পাচার মামলায় CBI-এর হাতে গ্রেফতার হয়ে দু’বছর তিহার জেলে থাকতে হয়েছিল বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। আর এবার গোরুবোঝাই গাড়ির চালকের কাছ থেকে জোর করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার দায়ে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৫। ধৃতদের নাম সন্তু ঘোষ, কমল মণ্ডল ওরফে ছোটন, সোমনাথ পালিত, দেব্রজিৎ ঘোষ ওরফে দেবা ও বিপত্তারণ রায়। মেমারি থানার পুলিশ পাল্লারোড থেকে এই পাঁচজনকে পাকড়াও করে। বুধবার ধৃতদের পেশ করা হয়েছিল বর্ধমান আদালতে। ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। পাশাপাশি তিনি ধৃতদের টিআই প্যারেডের আর্জিও মঞ্জুর করেছেন ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে বিপত্তারণের বাড়ি জেলার ভাতার থানার বলগনায়। দেব্রজিৎতের বাড়ি আউশগ্রাম থানার পুন্ননগরে।আর আউশগ্রাম থানার গুসকরায় সোমনাথের বাড়ি। অপর দুই ধৃত কমল ও সন্তুর বাড়ি আউশগ্রামের ডাঙালে। আগামী ১৬ নভেম্বর টিআই প্যারেডে এঁদের সামিল করানোর নির্দেশ দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। ওই দিন বর্ধমান সংসোধনাগারে টিআই প্যারেড হবে বলে তৃতীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২০ অক্টোবর সকালে হুগলির ডানকুনি থানা এলাকার বাসিন্দা মেঘদূত পাল গোরুবোঝাই গাড়ি নিয়ে ভাতার থেকে রওনা হয়েছিলেন। জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়ার সময় মেমারির পালশিট টোলপ্লাজার কাছে ৪-৫ জন যুবক তাঁর গাড়িটিকে আটকায়। তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। এমনকি মেঘদূত পালের কাছে থাকা ১ হাজার ২০০ টাকা ওই যুবকরা জোর করে কেড়ে নেয়। মেঘদূতের পালের মোবাইল ফোনটিও ওই যুবকরা ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ ।
এই ঘটনার বিষয়ে পালশিট ফাঁড়িতে নালিশ জানাতে যান মেঘদূত। কিন্তু, ফাঁড়ি কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তাঁর অভিযোগের সুরাহাও হয়না। বাধ্য হয়ে মেঘদূত পাল বর্ধমানে এসে গোটা ঘটনার কথা জেলার পুলিশ সুপারকে জানান।পুলিল সুপার তাঁকে মেমারি থানার ওসির সঙ্গে দেখা করতে বলেন। সেই মতো মেমারি থানায় গিয়ে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন।এরপরেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে তৎপর হয় মেমারি থানার পুলিশ ।
বিরোধীদের অবশ্য দাবি ,“পালশিটে গাড়ি দাঁড় করিয়ে তোলা আদায় করা নতুন কোনও ঘটনা নয়। এই তোলাবাজিতে কারা যুক্ত ,তাঁদের মাথার উপর কাদের হাত রয়েছে ,সেটা মেমারির সব বাসিন্দারই জানেন। পুলিশ সুপার বিষয়টি জানতে পেরেছেন বলেই অভিযুক্তরা গ্রেফতার হল। নয়তো কিছুই হত না। কারণ ধৃতরা সকলে 'ডাক বাবুর' লোক হিসেবেই পরিচিত।"
আরও পড়ুন- Awas Yojana: 'আবাস তালিকা থেকে নাম কাটুন', BDO-কে আবেদন তৃণমূলের প্রধান-সদস্যদের