কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, কিন্তু তাও ভোটের দিন রাজ্যের ১০ হাজারের বেশি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতেই পারেনি সরকার। যা নিয়েই আগেই কমিশন ও বিএসএফ কর্তাদের মধ্যে চাপানউতোর হয়েছে। একে অপরকে দুষেছে। গণনার দিন ফের উত্তাপ ছড়াল এই ইস্যুতে। বাহিনী না থাকায় এদিন ফের কেন্দ্রকেই দুষলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। স্পর্শকাতর বুথের তালিকা নিয়ে বিএসএফের অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন দিয়েছেন কমিশনার।
আরও পড়ুন- ফল বেগতিক দেখেই ভয়ঙ্করকাণ্ড তৃণমূল প্রার্থীদের, কোথাও ব্যালটে কালি, কোথাও ছিনতাই!
কমিশনের দফতে থেকে সাংবাদিকদের কমিশনার রাজীব সিনহা বলেন, 'সাধারণ মানুষ এবং কিছু রাজনৈতিক দলের ধারণা ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভোটের সময় অশান্তি কম হবে। বাহিনীর জন্য বাড়তি ভয় কাজ করবে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করেছি। প্রথমে আদালত বলেছিল প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। পরে সেই নির্দেশে সংশোধন করে বলা হয়, যে ক'টি বুথে সম্ভব বাহিনী দিতে হবে। আমার মনে হয় না ১০ হাজারের বেশি বুথে ওরা বাহিনী দিতে পেরেছে।'
আরও পড়ুন- Live - তড়তড়িয়ে এগোচ্ছে তৃণমূল, কেমন ফল বিরোধীদের?
আরও পড়ুন- সিপিএমের হয়ে জিতেই এই মহিলা যা কাণ্ড বাঁধালেন, দেখে বায়রনও লজ্জা পাবেন!
শনিবার পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল। সেদিনই ১৫টি প্রাণঝরে যায়। কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী এল না রাজ্যে? কেন স্পর্শকাতর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা মিলল না? প্রশ্ন উঠেছিল। সদিনই বিএসএফের তরফে দাবি করা হয় যে, স্পর্শকাতর বুথের তালিকা কমিশনের কাছে চেয়েও পাওয়া যায়নি। প্রথা মেনে বাহিনী মোতায়েনের আগে যে তথ্য দেওয়ার কথা ছিল কমিশনের, কিন্তু সেই কাজ হয়নি। সেই অভিযোগ উড়িয়ে এদিন রাজীব সিনহা বলেন, 'বিএসএফের পরিকল্পনায় স্পর্শকাতর বুথের কোনও গল্প ছিল না। জেলাভিত্তিক স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম শুধু স্পর্শকাতর কেন, ডিএম এবং এসপির সঙ্গে কথা বলে প্রতি বুথেই বাহিনী দেওয়া হবে। বিএসএফ যদি স্পর্শকাতর বুথের তালিকা না-ই পায়, তা হলে ওরা বুথগুলিতে বাহিনী দিল কী করে?'
আরও পড়ুন- লজ্জায় মাথা হেঁট আরাবুলের! ভাঙড়ে ভোটের ফল শুনেই যা বললেন…
কমিশনারের দাবি, ভোটের দিন অভিযোগ মেলা অশান্তির সব খবর খতিয়ে দেখেই ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। ভোটের পর সোমবার ফের ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়। এদিন গণনাকেন্দ্রে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে রাজ্য পুলিশের কর্মীরা। মোটের উপর গণনা চলছে শান্তিপূর্ণ ভাবেই।