/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/20/emirates-cargo-plane-crash-hongkong-airport-2025-10-20-11-51-28.jpg)
অবতরণের সময় বিরাট বিপত্তি
দুবাই থেকে ওড়া একটি কার্গো বিমান অবতরণের সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হল হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সোমবার ভোরে বিমানটি রানওয়ে থেকে পিছলে সমুদ্রে পড়ে যায় বলে জানিয়েছে হংকং এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ। সংবাদসংস্থা রয়টার্স স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে ঊদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার পর প্রকাশিত ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছে, এয়ারএসিটি (AirACT) লিভারিযুক্ত বোয়িং ৭৪৭ কার্গো বিমানটি আংশিকভাবে জলে ডুবে রয়েছে। আঘাতের ফলে বিমানের সামনের ও পেছনের অংশ আলাদা হয়ে যায়। বিমানটি কীভাবে রানওয়ে থেকে সরে সমুদ্রে গিয়ে পড়ল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও হংকং সিভিল এভিয়েশন ডিপার্টমেন্ট।
হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দুবাই থেকে আসা এমিরেটসের একটি কার্গো বিমান অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে। সোমবার ভোরে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় দুজন নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তবে বিমানের চারজন ক্রু মেম্বার অক্ষত রয়েছেন বলেই খবর।
গোটা গ্রামের আলো নিভিয়ে দেবীর আরাধনা! 'জাগ্রত মা কালী'র পুজো ভক্তদের আকর্ষণের কেন্দ্রে
স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৫০ মিনিট নাগাদ বোয়িং ৭৪৭-৪০০ মডেলের কার্গো বিমানটি বিমানবন্দরের নর্থ রানওয়েতে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি টহলদারি গাড়িকে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের তীব্রতায় টহলদারি গাড়িটি সমুদ্রে পড়ে যায়, যার ভিতরে থাকা দুজন নিরাপত্তা কর্মীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
বিমানবন্দরের তরফে স্টিভেন ইউ জানিয়েছেন, “বিমানটি অবতরণের পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে সীমানা ভেঙে টহলদারি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায়।” পরে ডুবুরি দল সমুদ্রে নেমে নিহত দু’জনের দেহ উদ্ধার করে।
হংকংয়ের অসামরিক বিমান পরিবহন বিভাগ ইতিমধ্যেই ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় আবহাওয়া ও রানওয়ের স্বাভাবিক ছিল এবং কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে, তদন্তকারীরা সম্ভাব্য অপরাধমূলক দিকও খতিয়ে দেখছেন। বর্তমানে রানওয়ের একাংশ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
ভক্তিস্রোতে ভেসে নৈহাটি! বড়মা'র কালীপুজোয় নজিরবিহীন সমাগম,জেনে নিন পুজোর নির্ঘণ্ট
চেক ল্যাপ কক বিমানবন্দর ১৯৯৮ সালে চালু হওয়ার পর এটি দ্বিতীয় বড় দুর্ঘটনা। এর আগে ১৯৯৯ সালে টাইফুনের সময় চায়না এয়ারলাইন্সের একটি বিমান অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছিলেন। বর্তমান দুর্ঘটনা বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম কার্গো বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
Hong Kong Airport Incident! Early today (20th), a cargo flight from Dubai to Hong Kong collided with a ground support vehicle and plunged into the sea, resulting in the deaths of two people—the passenger and driver of the ground support vehicle. #HongKong#PlaneCrashpic.twitter.com/zrSiGYErvX
— Bruce Lee (@sxrbggpp) October 20, 2025
দুর্ঘটনার পর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত রানওয়েতে উদ্ধারকাজ চলছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, সোমবার নির্ধারিত অন্তত ১১টি কার্গো ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিমানবন্দর প্রশাসন জানিয়েছে, তারা শীঘ্রই একটি প্রেস কনফারেন্স করে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবে।