Kali Puja 2025:গোটা গ্রামের আলো নিভিয়ে দেবীর আরাধনা! 'জাগ্রত মা কালী'র পুজো ভক্তদের আকর্ষণের কেন্দ্রে

Old Kali Puja:পশ্চিমবঙ্গের এই প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামের হাজার বছরের কালীপুজো জানুন। প্রাচীন শাক্ত উপাসনা, তান্ত্রিক রীতি, ছাগবলি বলি এবং উৎসবমুখর সাংস্কৃতিক আয়োজন এখানে ভক্তদের আকর্ষণ করে।

Old Kali Puja:পশ্চিমবঙ্গের এই প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামের হাজার বছরের কালীপুজো জানুন। প্রাচীন শাক্ত উপাসনা, তান্ত্রিক রীতি, ছাগবলি বলি এবং উৎসবমুখর সাংস্কৃতিক আয়োজন এখানে ভক্তদের আকর্ষণ করে।

author-image
Uttam Dutta
New Update
Goghat Kali Puja  ,1000 years old Kali Puja,  Goswami family West Bengal , Historic Shakta worship  ,West Bengal village festivals  ,Tantric rituals Kali Puja , Goat sacrifice tradition  ,Cultural events Goghat,  Dark night Kali Puja  ,Ancient Bengali temple rituals,গোঘাট কালীপুজো  ,হাজার বছরের কালীপুজো,  গোস্বামী পরিবার পশ্চিমবঙ্গ  ,প্রাচীন শাক্ত উপাসনা  ,তান্ত্রিক পূজা রীতি,  ছাগবলি বলি  ,কালী মন্দির অনুষ্ঠান,  গোঘাট গ্রাম উৎসব  ,অন্ধকারে কালীপুজো  ,বাংলার ঐতিহ্যবাহী পূজা

Kali Puja: হাজার বছরের প্রাচীন এই পুজোর পরতে পরতে লুকিয়ে গাঢ় রহস্য!

Tantric rituals Kali Puja: গোঘাট, হাজার বছরের কালীপুজো! সারা গ্রাম অন্ধকার করে এই পুজো শুরু হয়। এই পুজো দেখতে গেলে যেতে হবে হুগলি জেলার গোঘাটে। গোঘাটের আগাই গ্রামের গোস্বামী পরিবারের পুজো। কথিত আছে, এই পুজো প্রায় হাজার বছরের পুরনো। পরিবারের বর্তমান এক সদস্য  জানান, প্রায় এক হাজার বছর আগে বর্ধমানের রাজ পরিবারের বংশধর তথা সাধক অহরলাল গোস্বামী এই গ্রামে একটি গড় তৈরি করেছিলেন। গ্রামটি ছিল জঙ্গলে ভরা। 

Advertisment

বর্ধমান রাজের নির্দেশ অনুসারে গ্রামে চারটি জলাশয় তৈরি করা হয়। তার মাঝে তৈরি করা হয় একটি গড়। আর সেই গড়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয় মা কালীকে। এই পুজো হতো। যেহেতু জায়গাটি ছিল জঙ্গলে ঘেরা তাই স্বাভাবিকভাবেই ওই এলাকাটি ছিল ডাকাতদের অনুকূল আশ্রয়স্থল। ফলে অন্ধকার নামার পর ওই গ্রামের মধ্য দিয়ে বা পাশ দিয়ে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে সাহস পেতেন না। 

আরও পড়ুন- Kali Puja 2025:অমাবস্যার রাতে জাগে বেলপুকুরের শাক্ত শক্তি! শ্রীচৈতন্যের মামাবাড়ির এই কালীপুজোর মহিমা চিরন্তন

Advertisment

এমনও শোনা যায়, ওই সময় এলাকার দুর্ধর্ষ ডাকাত দলেরাও ওই নিম গাছের তলায় মা কালীর পুজো করে তারপরে ডাকাতি করতে বের হতো। এখনও রীতি অনুযায়ী ওই নিম গাছের তলায় প্রথমে মা কালীর পুজো করা হয়। তারপর মূল মন্দিরে দেবীর আরাধনা করা হয়। নিম গাছের নিচে যখন পুজোপাঠ শুরু হয় তখন সারা গ্রাম অন্ধকারে ঢেকে যায়। রীতি অনুযায়ী গ্রামের মানুষ ওই সময় সমস্ত আলো নিভিয়ে ফেলেন।

আরও পড়ুন-Kali Puja 2025:রাজকন্যা বিদ্যা ও সুন্দর, নরবলির কাহিনী শেষ হলেও আজও শিহরণ জাগায় বিদ্যাসুন্দর কালী

চারদিকে গা ছমছমে এবং ভয়ার্ত পরিবেশে মা কালীকে আহ্বান জানান পুরোহিত ঠাকুর। স্থানীয় পুরোহিত জানান, আমাদের এই পুজো দীর্ঘদিনের পুরনো। বংশ পরম্পরায় এই পুজো চলে আসছে। পুজো শুরুর সময় যা যা রীতি মানা হত এখনও সেভাবেই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। গোস্বামী বাড়ির মহিলা পূর্ণিমা চক্রবর্তী বিবাহ সূত্রে অন্যত্র চলে গেলেও কালীপূজাতে প্রতিবার এই বাড়ি আসেন। 

আরও পড়ুন-Kali Puja 2025:ভক্তিস্রোতে ভেসে নৈহাটি! বড়মা'র কালীপুজোয় নজিরবিহীন সমাগম,জেনে নিন পুজোর নির্ঘণ্ট

তিনি বলেন, "প্রথমে মঙ্গলঘট তুলে পুজো শুরু হয়। দেবী মূর্তির চক্ষুদানের পর কালো ছাগবলি। মোট ৩ টে ছাগল, ১টি ছাচি কুমড়ো, ও তিন কাঁদি আখ বলি হয়। সারারাত পুজো হয়।আমাদের মা খুব জাগ্রত। মনোস্কামনা পূরণের জন্য অনেকেই মানত করেন। মা তাঁদের ইচ্ছাও পূর্ণ করেন। সারা গ্রামকে আগলে রাখেন মা। এই বিশ্বাস আমাদের সারা গ্রামের। পূজার তিনদিন নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, মেলাও বসে। দূর-দূরান্ত থেকে বহু লোক এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন।"

Bengali News Today Goghat Kali Puja 2025