Advertisment

বাগুইআটিকাণ্ডের ছায়া বীরভূমে, অপহরণের পর নৃশংস কায়দায় খুন ছাত্রকে

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
engineering student murder at birbhum

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়ার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। ছবি: আশিস মণ্ডল।

একই কায়দায় খুন। বাগুইআটিকাণ্ডের ছায়া এবার বীরভূমে। অপহরণের পর মুক্তিপণ চেয়ে ফোন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়ার বাড়িতে। পুলিশে জানালে ছেলেকে আর ফেরানো হবে না বলেও হুমকি অপহরণকারীদের। শেষমেশ এরই কয়েক ঘণ্টার মাথায় জঙ্গল থেকে মিলল পড়ুয়ার মৃতদেহ।

Advertisment

বীরভূমের মল্লারপুরের বাসিন্দা ছিলেন উনিশ বছরের সৈয়দ সালাউদ্দিন। শনিবার বিকেল থেকে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওই পড়ুয়া। ছাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হয় পরিবার। শেষমেশ শনিবার রাত ১২টা নাগাদ ওই ছাত্রেরই ফোন থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে অপহরণকারীরা।

সালাউদ্দিনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। সেই ফোনের মিনিট পনেরো পর আবারও একটি ফোন আসে। অপহরণকারীরা হুমকির সুরে সালাউদ্দিনের পরিবারকে জানায়, 'পুলিশে জানালে ছেলেকে আর ফিরে পাবে না'।

আরও পড়ুন- অভিষেকের শ্যালিকার বিদেশযাত্রায় বাধা, বিমানবন্দরেই নোটিস ধরাল ED

সেই ফোনের পরেই মল্লারপুর থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিখোঁজ পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি পুলিশ ছাত্রের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করা শুরু করে। তদন্ত শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিখোঁজ পড়ুয়ার এক বন্ধু শেখ সলমনকে পুলিশ আটক করে।

আরও পড়ুন- শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, আগামী কয়েকদিন ভারী-অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

তাকে দফায়-দফায় জেরা করে শেষমেশ রবিবার ভোরে উদ্ধার হয় নিখোঁজ সৈয়দ সালাউদ্দিনের নিথর দেহ। ইলামবাজারের একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় বছর উনিশের ওই যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। খুনের অভিযোগ পরিবারের। নিহতের বন্ধু সলমন-সহ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জন গ্রেফতার হয়েছে।

তবে খুনের কারণ নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ। রবিবার ভোরে ইলামবাজারের ওই জঙ্গলের যে এলাকা থেকে ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তারই কিছু দূরে মিলেছে তার বাইকটিও। ওই এলাকা থেকে বেশ কিছু নেশার দ্রব্যও পেয়েছে পুলিশ, এমনই দাবি সূত্রের।

Birbhum Murder
Advertisment