Erosion of river Ganges has taken dangerous shape at Manikchak in Malda: অসময়ে মালদার মানিকচকের গঙ্গার ভাঙনে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে এই গঙ্গা ভাঙনের জেরে কমপক্ষে ২০টি দোকান এবং বেশ কয়েকটি টিন ও টালির ছাদ দেওয়া বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় মানিকচক গঙ্গার ঘাট এলাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোর থেকেই ব্যাপক হারে গঙ্গার ভাঙন হয়েছে। বেশ কিছু দোকানঘর এবং কাঁচা বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। আচমকা নদী ভাঙনের সময় দোকান ও ঘরবাড়ি থেকে সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী বের করার সুযোগ পাননি অনেকেই । ফলে অনেক পরিবারকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। নদী ভাঙন রুখতে অবিলম্বে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি স্থানীয়দের।
সোমবার মানিকচকের গঙ্গা ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের আরও দুই মন্ত্রী এবং জেলা প্রশাসনের কর্তারা। মন্ত্রীর পরিদর্শনের ২৪ ঘন্টার পর নতুন করে গঙ্গার ভাঙনের জেরে দিশেহারা অবস্থা মানিকচক ব্লকের গঙ্গা ঘাট এলাকার বাসিন্দাদের।
সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম, বরকত আলী, ফিরোজ শেখদের বক্তব্য, নভেম্বর মাসের দিকে গঙ্গার ভাঙ্গন হওয়ায় সকলকেই ঘাবড়ে দিয়েছে। এই সময় ভাঙন হওয়ার কথা নয়। কিছুদিন আগে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ বন্যার কবল থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করার মাঝেই এই ভাঙনে আবারও নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
স্থানীয় এলাকার এক দোকানমালিক ছোটন প্রামাণিক বলেন, "ভোর থেকে কয়েকশো মিটার ভাঙনের জেড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার একটি ফাস্টফুডের দোকান ছিল। সেটি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। অনেক টাকার সামগ্রীর লোকসান হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।
মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, "প্রায় দেড়শো মিটার গঙ্গা ঘাট এলাকা জুড়ে ভাঙন হয়েছে বলে শুনেছি। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে । ওই এলাকার গঙ্গার ঘাট থেকে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রচালিত নৌযান চলাচল করে। ফলে সেখানে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট রয়েছে। সপ্তাহে একদিন হাটবাজারও বসে। আচমকা ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।"
আরও পড়ুন- Eastern Railway: মসৃণ পরিষেবায় দুরন্ত তৎপরতা রেলের, যাত্রী স্বার্থে এবার আরও কঠিন পদক্ষেপ
মালদার জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, ভাঙন প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে নতুনভাবে কাজ করার কথা জানিয়েছেন সেচমন্ত্রী। ইঞ্জিনিয়ারেরা ভাঙন পরিস্থিতি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। গঙ্গার ভাঙনের বিষয়টি শুনেছি। দ্রুত যাতে ভাঙন প্রতিরোধ করা যায় সেই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।