/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/11/nepal-2025-09-11-18-48-20.jpg)
Purba Bardhaman News: এই ঘটনা এখন এলাকায় দারুণ চর্চায়।
চোখের চিকিৎসা করাতে গিয়ে অগ্নিগর্ভ নেপালে আটকে পড়েছিলেন বাংলার বাসিন্দা সৈয়দ আরজাদ হোসেন ও তাঁর মেয়ে কবিতা খাতুন। কীভাবে পূর্ব বর্ধমানের সরাইটিকর গ্রামের বাড়িতে ফিরবেন তার কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না আরজাদ। বিকল্প কোনও পথ খুঁজে না পেয়ে তিনি দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন রাখেন। তার পরেই মেলে সুরাহা। ভারতীয় সেনা, দার্জিলিং এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের তৎপরতায় আরজাদ হোসেন ও তাঁর মেয়ে দেশে ফিরছেন।এখন দুশ্চিন্তা মুক্ত হোসেন পরিবার।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়ে কবিতাকে নিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর নেপালে যান আরজাদ হোসেন। পরদিন তাঁরা চক্ষু চিকিৎসকের কাছে পৌছান। ওই সময়ে নেপালের পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল। চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে বাইরে বের হওয়ার পর তাঁরা দেখেন গণ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে নেপাল। এমন পরিস্থিতি দেখেই আরজাদ ও তাঁর মেয়ে সোজা হোটেলে চলে যান। হোটেলের ঘরেই তাঁরা নিজেদের বন্দি রাখেন।
আরও পড়ুন- Partha Chatterjee: বড় খবর! SSC দুর্নীতিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে কাদের ঘাড়ে দায় ঠেললেন পার্থ?
পরবর্তী সময় গোটা নেপাল জুড়ে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠায় বর্ধমানের সরইটিকরে বসবাস করা আরজাদ হোসেনের পরিবারের লোকজনের উদ্বেগ বাড়তে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন রাখেন আরজাদ হোসেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে এগিয়ে আসে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। তারা ভারতীয় সেনার সঙ্গে যোগাযোগের পরেই সমস্য সমাধানের পথ তৈরি হয়। সেনার তৎপরতায় বৃহস্পতিবার সকালে ’যোগবানী সীমান্ত’ দিয়ে দেশে প্রবেশ করেন আরজাদ হেসেন ও তাঁর মেয়ে।
আরও পড়ুন- kidnapping:সূত্রের খবরেই বাজিমাত, রুদ্ধশ্বাস গ্রেফতারি! অপহরণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার অধ্যাপক
এই খবরে স্বস্তি ফিরেছে সরাইটিকর গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি খুশি পরিবারের সদস্যরা। আরজাদ হোসেনের স্ত্রী লুৎফুন্নেসা খাতুন এদিন বলেন, “স্বামী-মেয়ে নিরাপদে দেশে ফিরছে।এর থেকে বড় শান্তি আর কিছু নেই।”সরাইটিকর পঞ্চায়েতের সদস্য শেখ নয়ন বলেন,’প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ না মিললে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারত।” অন্যদিকে আটকে পড়া আরজাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন “ভারতীয় সেনা ও প্রশাসনের সাহায্য না মিললে আমাদের দেশে ফেরা সম্ভব হত না।”