/indian-express-bangla/media/media_files/2024/11/02/XYUKv4o3MBEIJTyxQlmj.jpg)
Parnasree Suicide Case: প্রতীকী ছবি।
Father commits suicide with daughter suffering from autism in Behalas Parnasree: মর্মান্তিক কাণ্ড বেহালার পর্ণশ্রীতে। অটিজমে আক্রান্ত কন্যাকে নিয়ে আত্মঘাতী হলেন বাবা। বেহালার পর্ণশ্রীর হো চি মিন সরণির এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মেয়ের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বাবা সজন দাস। সম্ভবত সেই কারণেই একমাত্র মেয়েকে নিয়ে চরম এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি, এমনটাই মনে করছেন অনেকে। তবে এই জোড়া-মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ মৃত সজন দাসের স্ত্রী জলি দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সেই সঙ্গে তদন্তকারীরা কথা বলছেন তাঁদের আত্মীয়দের সঙ্গেও।
বেহালার পর্ণশ্রীর হোচি মিন সরণির একটি বাড়িতে স্ত্রী জলি দাস ও বছর বাইশের মেয়ে সৃজাকে নিয়ে থাকতেন সজন দাস। সজন পেশায় ওয়াটার পিউরিফায়ারের ব্যবসায়ী। সজনের মেয়ে সৃজা অটিজম রোগে আক্রান্ত। দীর্ঘদিন ধরে মেয়ের চিকিৎসা বিপুল খরচ জোগাতে রীতিমতো হিমশিক্ষা খাচ্ছিলেন বাবা সজন দাস। মেয়েকে নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সজন।
জানা গিয়েছে, গতকাল দুপুরে মেয়েকে চিকিৎসা করানোর নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সজন দাস। সেই সময় তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথাও হয়েছে। সজনের স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, গতকাল তাঁকে তাঁর স্বামী জানিয়েছেন মেয়েকে চিকিৎসা করাতে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন। কিন্তু তারপর থেকে স্বামীর সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। এরপর রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন সজলের স্ত্রী। ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।
সন্ধে নাগাদ তাঁদেরই পরিচিত এক ব্যক্তি সজনদের বাড়িতে যান। ওই বাড়ির একতলার একটি ঘরের দরজা দিয়ে উঁকি মারতেই মর্মান্তিক ওই দৃশ্য তিনি দেখতে পান। সেই ঘরে পাখার হুক থেকে নায়লনের দড়ি দিয়ে বাবা-মেয়ের মৃতদেহ ঝুলতে দেখেন তিনি।এদিকে জোড়া-মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বাবা এবং মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মৃতদেহ দুটি। তবে এই জোড়ার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে এখনও কিছু বলতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: কলকাতা মেট্রোয় বাম্পার বন্দোবস্ত! যাত্রী স্বার্থে দুরন্ত সুবিধা পুরোদমে চালু
এটা আত্মহত্যা? নাকি এই মৃত্যুর পিছনে আছে অন্য কোনও কারণ? সবদিক খতিয়ে দেখে শুরু হয়েছে তদন্ত। অনেকে এই ঘটনার পিছনে ট্যাংরা কাণ্ডের ছায়া দেখছেন। ট্যাংরার ক্ষেত্রে দে বাড়ির রহস্যময় পরপর তিনটি মৃত্যুর এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। সেই ট্যাংরা-কাণ্ডের জের কাটতে না কাটতেই এবার পর্ণশ্রীতে বাবা-মেয়ের রহস্যমৃত্যু চর্চায়।