/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/10/SX6YqP9UTg3gwoIbjAIY.jpg)
Muhammad Yunus & Sheikh Hasina: মহম্মদ ইউনূস ও শেখ হাসিনা।
Bangladesh News: বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রধান ও চর মোনাইয়ের নেতা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। এক সাক্ষাৎকারে তিনি ঘোষণা করেন, তার দল যদি পরবর্তী সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়, তবে তারা তালেবান-শাসিত আফগানিস্তানের আদলে বাংলাদেশে 'শরিয়া আইন' বাস্তবায়ন করবে। পাশাপাশি, ইরান, আমেরিকা, ইংল্যান্ড বা রাশিয়া থেকেও যা কিছু ভালো তা গ্রহণ করার কথা বলেন—যতক্ষণ না তা শরিয়া বিরোধী হয়। এক সাক্ষাৎকারে করিম বলেন, "জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করতে পারলে, "বাংলাদেশ শরিয়া আইন কার্যকর হবে।"
আরও পড়ুন- হঠাৎ করে কী এমন হল? সোনার দাম কমল না বাড়ল? উলটোরথে জানুন হলুদ ধাতুর দর!
সংখ্যালঘুদের অধিকার সম্পর্কে করিম বলেন, "আমরা যে শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করব তা হিন্দুদেরও অধিকার সুরক্ষিত করবে। সংখ্যালঘুদের অধিকারও বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি জানান, আফগানিস্তানের বর্তমান তালিবানি শাসন মডেল অনুসরণ করা হবে। প্রয়োজনে ইরানকেও 'রোল মডেল' হিসেবে গ্রহণ করা হবে"।
আরও পড়ুন- 'যাকে আমন্ত্রণ করার করেছি, যাকে নয় করিনি', মহুয়ার ডাকে 'একুশের বৈঠকে' তাল কাটল
এদিকে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ বলেছে যে, গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে উড়িয়ে দিয়ে ধর্মীয় বিধি আরোপ, নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকার দমনের জন্যই এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। দলের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, এই বিষয়ে নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের নীরবতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটা কী উদাসীনতা নাকি নীরব সহযোগিতা? প্রশ্নও তোলা হয়েছে দলের তরফে।
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! রাস্তায় চাপ চাপ রক্ত, ছড়িয়ে-ছিটয়ে পড়ে একের পর দেহ, মৃত্যুমিছিল, হাসপাতালে স্বজনহারার আর্তনাদ
আওয়ামী লীগ এর আগে বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে হামলা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান বিঘ্নিত করা এবং নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান অপরাধ ও সাম্প্রদায়িক হিংসা বৃদ্ ঘটনায় ইউনূসকে নিশানা করেছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে দেশজুড়ে আইন শৃঙ্খলা ব্যর্থতার জন্য দল ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করেছে।